আরও এলএনজি আনতে এবার ওমানের সঙ্গে নতুন চুক্তি

0
175
রাজধানীর একটি হোটেলে সোমবার রাতে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন-পেট্রোবাংলা এবং ওমানের বেসরকারি কোম্পানি ওকিউটির এলএনজি আমদানি–সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়েছে, ছবি: সংগৃহীত

তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি আরও বাড়াতে কাতারের পর এবার ওমানের সঙ্গে নতুন করে একটি চুক্তি করেছে সরকার। এ চুক্তির আওতায় ২০২৬ সালে দেশটি থেকে এলএনজি সরবরাহ বাড়বে। এতে খোলাবাজারে দাম বাড়লেও চুক্তি অনুসারে ১০ বছর ধরে তুলনামূলক কম দামে এলএনজি পাওয়া যাবে।

আজ সোমবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন-পেট্রোবাংলা এবং ওমানের বেসরকারি কোম্পানি ওকিউটির মধ্যে এ–সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়। পেট্রোবাংলার পক্ষে সংস্থার সচিব রুচিরা ইসলাম এবং ওমানের পক্ষে ওকিউটির নির্বাহী পরিচালক সায়িদ আল মাওয়ালি চুক্তিতে সই করেন।

ওমানের এই এলএনজি বাংলাদেশের জ্বালানিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে অনুষ্ঠানে আশ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক–ই–ইলাহী চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ গ্যাস অনুসন্ধান কাজ জোরদার করেছে। গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানের জন্য পিএসসিকে হালনাগাদ করা হচ্ছে। এ সময় তিনি ওমানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পিএসসিতে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান।

দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি আনতে ২০১৭ সালে কাতার ও ২০১৮ সালে ওমানের সঙ্গে চুক্তি করে সরকার। এর পর থেকে দুটি দেশ প্রতিবছর এলএনজি সরবরাহ করছে। এর বাইরে খোলাবাজার থেকে তাৎক্ষণিক দামে এলএনজি কেনা হয়। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের পর খোলাবাজারে এলএনজির দাম কয়েক গুণ বেড়ে যায়। গত বছর জুলাই থেকে টানা সাত মাস খোলাবাজার থেকে এলএনজি কেনা ও বন্ধ রাখা হয়। এর মধ্যেই দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি আমদানি বাড়াতে তোড়জোড় শুরু করে সরকার।

দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি আনতে ২০১৭ সালে কাতার ও ২০১৮ সালে ওমানের সঙ্গে চুক্তি করে সরকার। এর পর থেকে দুটি দেশ প্রতিবছর এলএনজি সরবরাহ করছে। এর বাইরে খোলাবাজার থেকে তাৎক্ষণিক দামে এলএনজি কেনা হয়। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের পর খোলাবাজারে এলএনজির দাম কয়েক গুণ বেড়ে যায়। গত বছর জুলাই থেকে টানা সাত মাস খোলাবাজার থেকে এলএনজি কেনা ও বন্ধ রাখা হয়। এর মধ্যেই দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি আমদানি বাড়াতে তোড়জোড় শুরু করে সরকার।

বর্তমান চুক্তির আওতায় বছরে বাংলাদেশকে এক থেকে দেড় মিলিয়ন টন পর্যন্ত এলএনজি সরবরাহ করছে ওমান। নতুন চুক্তির আওতায় আরও দেড় মিলিয়ন টন সরবরাহ করা হবে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ওমানের রাষ্ট্রদূত আবদুল গাফ্ফার আলবুলুসি, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, সায়িদ আল মাওয়ালি বক্তব্য দেন।

এর আগে ১ জুন কাতারের দোহায় কাতারের সঙ্গে নতুন করে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ১৫ বছর মেয়াদি ওই চুক্তির আওতায় ২০২৬ সালে ১২ কার্গো এলএনজি (অতিরিক্ত আরও ১২ কার্গো যুক্ত করার সুবিধাসহ) এবং ২০২৭ সালে ২৪ কার্গো এলএনজি বাংলাদেশে আসবে। ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরে কাতারের রাস গ্যাসের সঙ্গে প্রথম চুক্তি করে পেট্রোবাংলা। ২০১৮ থেকে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত মেয়াদি এ চুক্তির আওতায় বছরে ৪০ কার্গো জাহাজ এলএনজি দেশে আসছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.