মাহিয়া মাহি। তারকা অভিনেত্রী ও মডেল। মা হওয়ার কারণে বেশ কিছুদিন অভিনয় থেকে দূরে আছেন তিনি। অভিনয়ে ফেরা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তাঁর সঙ্গে–
অভিনয়ের জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হচ্ছে না, শুটিংয়ের জন্যও নেই কোনো ছোটাছুটি। কীভাবে কাটছে দিনগুলো?
অনেকে বলে, ব্যস্ততাই জীবন। তবে সেই ব্যস্ততা যে শুধু পেশাদারি হবে– এমন কোনো কথা নেই। এখন প্রতিটি দিন, মানে ২৪ ঘণ্টাই কাটছে আমার ছেলে ফারিশের সঙ্গে। মুগ্ধ চোখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ওর দিকে তাকিয়ে থাকি, প্রতিটি মুভমেন্ট আমি দেখি। এককথায় এখন ফারিশকেন্দ্রিক আমার জীবন। তাই ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে না পারা, আগের মতো দিনভর শুটিং নিয়ে ব্যস্ততা না থাকা– এসব নিয়ে একদমই ভাবছি না।
অভিনয়ে কবে ফিরবেন?
সবে মা হয়েছি। তাই আগে সন্তানকে বড় করা, ওর সবকিছুর সঠিক দেখভাল, এরপর অন্য কাজ। ফারিশ আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার। তাই ওকে ছাড়া একমুহূর্ত দূরে থাকা কঠিন। তবে অভিনয়ে যে ফিরব না– এমন কথা বলছি না। সবকিছু গুছিয়ে তবেই অভিনয়ে ফিরব, ইচ্ছা এটাই। সে জন্য আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
অভিনয়ে ফেরার পর বড় পর্দার পাশাপাশি অন্যান্য মাধ্যমে দেখা যাবে?
আগে থেকে পরিকল্পনা করে কোনো কিছু করা অন্তত আমাকে দিয়ে হয় না। বেশির ভাগ কাজের বেলায় দেখা গেছে, সিদ্ধান্ত হঠাৎ করেই নিয়ে ফেলেছি। তাই অভিনয়ে ফিরলে শুধু সিনেমায় কাজ করব– এমন কথা জোর দিয়ে বলা কঠিন।
এখন চলচ্চিত্রের অনেকেই ওটিটিতে কাজ করছেন। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
কাজ যদি ভালো হয়, তাহলে মাধ্যম নিয়ে আলাদা করে ভাবার কিছু নেই। ওটিটি সময়ের দাবি পূরণ করছে। প্রতিটি কাজই বড় বাজেটে, ভিন্ন ধরনের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে। এর চেয়ে বড় কথা, সিরিজের পাশাপাশি ওয়েব সিনেমাও নির্মাণ করছেন অনেকে। আমি নিজেও ওটিটিতে কাজ করেছি। শিহাব শাহিনের পরিচালনায় ‘মরীচিকা’ সিরিজের পাশাপাশি রায়হান রাফির ‘অক্সিজেন’-এ অভিনয় করেছি। যার সুবাদে ওয়েব কনটেন্টের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। তাই বড় পর্দার পাশাপাশি আমাকে আবার ওটিটিতে দেখা যেতে পারে। তবে সবই নির্ভর করছে সময়ের ওপর। এখনই কোনো কিছু নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।
চলচ্চিত্রের বাঁকবদল আশার আলো দেখাচ্ছে বলে মনে করেন?
যখন একের পর এক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, তখন কিছু ছবি দর্শককে হলমুখী করেছে। চলচ্চিত্রের এই বাঁকবদল অবশ্যই আমাদের জন্য আশীর্বাদ।