আবেগ নয়, ম্যাচ জিততে হয় স্কিলে

0
134
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে

চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অধীনে ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিন তিনটি আইসিসি টুর্নামেন্ট খেলেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যেমন রোমাঞ্চকর জয় রয়েছে, তেমনি টি২০ বিশ্বকাপে হৃদয় ভাঙার গল্পও লেখা রয়েছে। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য পরিকল্পনা করছেন টাইগার প্রধান কোচ। অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের দিয়ে দল সাজাতে চান তিনি। তবে বিশ্বকাপ নিয়ে লাগামহীন স্বপ্ন দেখছেন না তিনি। কারণ, ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ওপরে এখন ছয়টি দল রয়েছে। অবশ্য চন্ডিকা শুধু বিশ্বকাপ নিয়ে নয়, বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্থায়ীভাবে শক্তিশালী একটি কাঠামো তৈরিতে কাজ করছেন। টি২০ সংস্করণে উন্নতি করতে নিজস্ব কৌশল খুঁজছেন তিনি। জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কাছ থেকে তাঁর সব কৌশল এবং পরিকল্পনার কথা শুনেছেন সেকান্দার আলী

প্রশ্ন: দ্বিতীয় মেয়াদে কেমন লাগছে বাংলাদেশে?

হাথুরুসিংহে: এবার খুব উপভোগ করছি। কারণ, আমার অনেক কিছুই জানাশোনা রয়েছে। এ কারণে বেশ উপভোগ্য হয়েছে। এবার আমাকে গ্রহণও করা হয়েছে সাদরে।

প্রশ্ন: সবাই বলছে– এবার আপনি অনেক শান্তশিষ্ট

হাথুরুসিংহে: আগেরবারের চেয়ে পাঁচ বছরের পরিণত আমি। এবার তেমন কোনো পরিবর্তনও করছি না। কারণ, তারা (ক্রিকেটার) আমাকে জানে, খেলোয়াড়রা অনেক উন্নতি করেছে এবং পুরো সিস্টেমে উন্নতি হয়েছে। এ কারণে বাড়তি কিছু করতে হয়নি। কিছু জিনিস বসাতে হয়েছে এবং পরিবেশে একটু ঝাঁকুনি দিতে হয়েছে, এই যা। সম্ভবত এ জন্যই তারা (খেলোয়াড়) মনে করছে, আমি শান্ত হয়েছি, যেটা আমি নিজেও অনুভব করছি।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে নিশ্চয়ই একটা ভিশন এবং মিশন নিয়ে এসেছেন?

হাথুরুসিংহে: ভিশন ও মিশন অনেক বড় ব্যাপার। এবার আমি দুটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছি। একটি হলো– দীর্ঘ মেয়াদে উন্নতি। আগেরবার ফলকেন্দ্রিক পরিকল্পনা ছিল। কারণ, কোচ হিসেবে তখন আমি তেমন পরিচিত ছিলাম না। আমাকে মানুষ সেভাবে জানত না। সুতরাং প্রমাণ করার একটা ব্যাপার ছিল। এবার প্রমাণ করার কিছু নেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্থায়ী একটা রূপ দেওয়ার ব্যাপার রয়েছে। সেদিক থেকে অ্যাপ্রোচ সম্পূর্ণ ভিন্ন। ভালো একটি সিস্টেম দাঁড় করাতে চেষ্টা করছি, যেটা করা হলে দীর্ঘ মেয়াদে লাভবান হবে বাংলাদেশের ক্রিকেট। আমি চলে যাওয়ার পরও কোনো কিছু বন্ধ হবে না।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে কেন পছন্দ করে?

হাথুরুসিংহে: আমি জানি না। আপনি তাদের জিজ্ঞেস করেন (হাসি)। আমার কোনো ধারণা নেই।

প্রশ্ন: এটা কি ফল এনে দেওয়া বা কাজের ধরনের কারণে?

হাথুরুসিংহে: ফল আমার কোচিংকে সাহায্য করে। তবে ফলের রেশ বেশিদিন থাকবে না। কারণ, ফল প্রতিদিন হবে না। যদি ফলের কারণে হয়ে থাকে তাহলে বলব, এটা পরিবর্তন হবে। কারণ প্রতিটি দলই উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যায়। আমি খুশি, মানুষ আমাকে বাহবা দেয়। বাংলাদেশের মানুষ দারুণ। তারা খুবই বিনয়ী এবং কৃতজ্ঞতাপরায়ণ।

প্রশ্ন: আপনাকে কড়া হেডমাস্টার মনে করা হয় কেন?

হাথুরুসিংহে: আপনি খেলোয়াড়দের কাছে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন, আমি কড়া হেডমাস্টার নই। আমি যেটা করতে পছন্দ করি, মানুষ যেন ভালো দিকটি নিতে পারে। আমরা প্রসেস ঠিক রাখতে পারলে ফল পাব। বিশেষ করে দলীয় খেলায় ব্যক্তি দলের চেয়ে বড় হতে পারে না। দল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবাই যখন বুঝবে দল প্রথমে, তখন দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবকিছু করবে। ব্যক্তির জন্য নয়। একক ব্যক্তি পারফরম্যান্স দিয়ে আলোচিত হতে পারে, এর মানে এই নয়, দলের বিপক্ষে গিয়ে যে কোনো কিছু করতে পারে। এটাই হলো আমার মানসিকতা। এ কারণেই হয়তো আপনারা বলেছেন হেডমাস্টার। আমি এককেন্দ্রিক চিন্তা করি এবং সেটাকে এগিয়ে নিই।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের ক্ষেত্রে আপনার স্টাইল কি খুব কার্যকর মনে করেন?

হাথুরুসিংহে: না, আমি তা বলব না। যে দলের সঙ্গে আমি কাজ করছি, তার ওপর কৌশল পরিবর্তন হয়। শ্রীলঙ্কা দলে যখন কোচিং করিয়েছি, সেখানে পরিপক্বতা ও সংস্কৃতি অন্যরকম ছিল। সাউথ ওয়েলস আবার সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল। যে কোনো কোচের সামর্থ্য সে দলের পরিণতিবোধ ও সংস্কৃতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং কার্যকর হয়।

প্রশ্ন: বিশ্বকাপের প্রতিটি দলই তো সেরা। আপনি তাদের কীভাবে হারাবেন?

হাথুরুসিংহে: খুবই ভালো প্রশ্ন। প্রতিটি দলের আলাদা শক্তিমত্তা থাকে। নির্দিষ্ট দিনে সবারই সমান সুযোগ থাকে। সেই দিনের কন্ডিশনও বড় ভূমিকা রাখে। কিছু কন্ডিশন সামর্থ্যকে মেলে ধরতে সাহায্য করে, কিছু কন্ডিশন সীমিত করে দেয়। এই বিশ্বকাপটি খুবই মজার হবে। কারণ কোনো দলই পরিষ্কার ফেভারিট না। কোনো কোনো দল খুবই ভালো করছে। যেমন– ইংল্যান্ড, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তান দেশের বাইরে অনেক ক্রিকেট খেলেছে। বিদেশের মাটিতে পাকিস্তানের সামর্থ্য সম্পর্কে কখনোই অনুমান খাটে না। আমরা দেশে ভালো ক্রিকেট খেলছি, বিদেশে ততটা ভালো করছি না। তবে কে ফেভারিট, সেটা বোঝা যাচ্ছে না। এই সম্ভাবনা থেকে বলা যায়, সবার জন্য সুযোগ থাকবে।

প্রশ্ন: আফগানিস্তান বা এশিয়া কাপই হলো বিশ্বকাপের আগে পরখ করে দেখার শেষ সুযোগ। এমন কোনো পজিশন আছে, যেটা নিয়ে আপনি দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন?

হাথুরুসিংহে: আমার মনে কোনো সংশয় বা দ্বিধা নেই। আফগানিস্তান সিরিজে ব্যাটিংটা দেখে নেওয়ার একটা সুযোগ। কারণ, আমার দৃষ্টিতে তারা অন্যতম শক্তিশালী বোলিং দল। কিছু জায়গায় ব্যাটিংটা দেখে নিতে পারি। আমরা আমাদের ব্যাটিং গভীরতা বুঝে নিতে চাই। হ্যাঁ, দুই বা তিনটি জায়গায় উন্নতি করার সুযোগ আছে। কিছু জায়গা প্রতিষ্ঠিত। তারা প্রতিষ্ঠিত হলেও অন্যরাও সমানভাবে ভালো। আমি নাম বলছি না, তবে আপনারা জানেন একজন লেগ স্পিনার খুঁজে এখনও পাইনি। না পেলে একটা অতিরিক্ত বোলিং বিকল্প নিতে হবে একজন ব্যাটারের পরিবর্তে। যদি পাঁচ বোলার নিয়ে খেলি।

প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন ভবিষ্যতে সব সংস্করণে নেতৃত্ব দিতে পারবে লিটন?

হাথুরুসিংহে: এ মুহূর্তে এটা আমার সিদ্ধান্ত না। আমি সেটা করতেও বলিনি। সবারই সামর্থ্য আছে। অনেক নেতা আছে, যারা সঠিক কাজ করতে পারে। কোনো কোনো সময় অধিনায়ক কিছু করতে না পারলেও নেতৃত্ব দেয়। আবার কেউ আছে খুবই ভোকাল এবং নেতৃত্ব দেয়। বিরাট কোহলি ও অন্যদের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারেন।

প্রশ্ন: বিশ্বকাপে হৃদয় ভাঙা কিছু ম্যাচ আছে। বেঙ্গালুরুর কথা নিশ্চয়ই মনে আছে?

হাথুরুসিংহে: ২০১৫, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে তিনটি আইসিসি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশকে নিয়ে খেলার অভিজ্ঞতা আছে আমার। কিছু ম্যাচে খুবই ভালো খেলেছি। প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে গেছি। অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছি, কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডকে। ভারতকে (২০১৬) প্রায় হারিয়ে দিচ্ছিলাম, সেটা করতে পারলে ভারত টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেত। কে জানে হয়তো আমাদের সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা তৈরি হতো। এবার বিশ্বকাপে একটি অসাধারণ দিনের জন্য অপেক্ষা করতে পারি না। কারণ ৯টির ম্যাচের মধ্যে অন্তত সাতটিতে ভালো দিন হতে হবে।

প্রশ্ন: টেস্ট এবং টি২০ তে বাংলাদেশকে কোথায় দেখতে চান?

হাথুরুসিংহে: আমরা শীর্ষ তিন থেকে পাঁচ দলের মধ্যে যেতে চাই। সামনের চক্রে শীর্ষ পাঁচে থাকতে পারলে বড় একটি ধাপ অতিক্রম করা হবে। এর পর চূড়ান্ত লক্ষ্য থাকবে টেস্টের সেরা তিন দলকে হারানো। সামনে টি২০ বিশ্বকাপ আছে। আমার মনে হয়, এই সংস্করণে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছি। আমাদের নিজস্ব খেলার কৌশল খুঁজে নিতে হবে। কারণ, কিছু জায়গায় সামর্থ্য আছে, কিছু জায়গায় সীমাবদ্ধতা। যেটা আমরা রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারব না। তাই আমাদের মতো করে খেলার কৌশল বের করতে হবে। যদি সেটা কাজ করে তাহলে স্বতন্ত্র কিছু হবে। সবার বেলায় হয়তো এটা কাজ করবে না। কেউ হয়তো বলবে, এটা কেন করছে। কিন্তু সুযোগটা নিতে চাচ্ছি। কারণ, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় খেলে আমরা একই ফল পাচ্ছি। একই কাজ করা হলে সেটা পাগলামি।

প্রশ্ন: এই লক্ষ্য অর্জন করতে কী ধরনের পরিকল্পনা নেবেন?

হাথুরুসিংহে: টেস্টে আমরা এখন ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কৌশলে খেলি। আপনারা এক দিনের খেলা দেখেন। কিন্তু আমরা কৌশলগত প্রস্তুতি নেই, স্কিলের প্রস্তুতি নেই, পিচের ধরন কেমন হবে, তাও বলে দিই। সপ্তাহ ও মাসব্যাপী প্রস্তুতি চলে। পেছনে অনেক কাজ করা হয়, যেটা আপনারা দেখেন না। আমি আগেরবার ইনডোর এবং আউটার জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলাম। এ জন্য অনেক সমালোচনাও হয়েছিল। এ ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে ভালো উইকেটও প্রয়োজন। যেটা দীর্ঘমেয়াদি উন্নতিতে প্রভাব ফেলে। এ রকম ছোট ছোট অনেক জিনিসই করা হচ্ছে। গত চার-পাঁচ বছর ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে গতির উইকেট করে দেওয়া হয়েছে বোর্ড থেকে। যে কারণে ফাস্ট বোলাররা বেরিয়ে এসেছে এবং ভালো করছে। সেদিক থেকে দেখলে ভালো করছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। আমি বলতে চাচ্ছি– এই জিনিসগুলো এগিয়ে যেতে সহায়ক হচ্ছে। বিপিএল থেকে আমরা কিছু খেলোয়াড় পেয়েছি– হৃদয়, শান্ত, রনি অন্যতম। আমরা ফল পেতে শুরু করেছি। সামনে আরও অনেক কিছু করতে পারি। আমরা উঁচু এবং নিচু বোলিং মেশিনে খেলছি। শুধু ব্যাট-বলের অনুশীলন করছি না। ভিন্নভাবে অনুশীলন করছি। এই কসরতের ফল ভবিষ্যতে দেখতে পাবেন।

প্রশ্ন: কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার সম্ভবত দুই-তিন বছরের মধ্যে খেলা ছেড়ে দেবেন। শূন্যস্থান পূরণে প্রস্তুতি শুরু করেছেন?

হাথুরুসিংহে: তারা আমাকে এখনও কিছু বলেনি (হাসি)। আমি মাত্র পাঁচ মাস হয় এসেছি। এখনই শূন্যস্থান পূরণের প্রস্তুতি শুরু করা সম্ভব হয়নি।

প্রশ্ন: সৌম্য, মোসাদ্দেকের মতো কয়েকজন ক্রিকেটারকে নেটে দেখছেন। এর মানে কি এখনও তাঁদের সুযোগ আছে?

হাথুরুসিংহে: কয়েকটি জায়গায় সুযোগ আছে। এদের থেকে এক বা দু’জন বিকল্প খেলোয়াড় হিসেবে যেতে পারে। বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে ১৫ জন ক্রিকেটার নিয়ে যেতে পারি না। অন্তত ১৮ জনকে নিতে হবে। কারণ, যে কোনো সময় যে কোনো কিছু হতে পারে। সে কারণে বিশ্বকাপ সামনে রেখে আমি খেলোয়াড় সংখ্যা বাড়াচ্ছি। তাদেরই নিতে চাই, যাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এবং বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। কারণ আমার হাতে বেশি সময় নেই। দুই বছর থাকলে বিকল্প কৌশলে যেতাম। আপনি দেখে থাকবেন– কোনো অনভিজ্ঞ দল কিন্তু বিশ্বকাপ জেতেনি।

প্রশ্ন: বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শক্তির জায়গা কোনটা হবে– ব্যাটিং, না বোলিং?

হাথুরুসিংহে: আমি মনে করি, ব্যাটিং-বোলিং দুটিই। সূচির জন্য অপেক্ষা করছি। সম্ভবত আমাদের অনেক দিবারাত্রির ম্যাচ খেলতে হবে। কন্ডিশনেরও বড় প্রভাব থাকবে, যেটা আমাদের ফাস্ট বোলারদের সুবিধা দেবে। উপমহাদেশে শিশিরের প্রভাব থাকে। যেটাতে স্পিনারদের কিছুটা সমস্যা করে। আমরা জানি, ভারতে বড় রান হয়, ব্যাটাররা উপভোগ করবে। তবে স্পিনারদের কঠিন সময়ের ভেতর দিয়ে যেতে হবে। যদিও আমাদের দু’জন ভালো মানের অভিজ্ঞ স্পিনার আছে।

প্রশ্ন: বেঙ্গালুরুতে গেলে ভারতের কাছে হারের স্মৃতি মনে পড়বে নিশ্চয়ই?

হাথুরুসিংহে: ওই ম্যাচ চলে গেছে। ওই ম্যাচ থেকে যে শিক্ষা হয়েছে– আবেগ দিয়ে ম্যাচ জেতা যায় না, জিততে হয় স্কিলে।

বিশ্বকাপে বাস্তবিক চাওয়া

হাথুরুসিংহে: আমরা সবাই আশা করছি, কিছু করতে পারব। এবার সেরা কিছু করার সুযোগ মনে করা হচ্ছে। কারণ, আমাদের সাম্প্রতিক ফলাফল। তবে সত্যিটা হলো– আমরা এখনও ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের আট নম্বর (সাত) দল। অন্য দলগুলোও ভালো করছে। তারা এক, দুই, তিন নম্বরে আছে। আমরা হয়তো এভাবে ভাবতে পারি, বিশ্বকাপ জিততে যাচ্ছি। এ ছাড়া এবারের বিশ্বকাপে ভালো করার সুযোগও বেশি। যদিও টুর্নামেন্টের ফরম্যাট ভিন্ন, প্রতিটি দলকে ৯টি করে ম্যাচ খেলতে হবে। ৯ দিন ভালো ক্রিকেট খেলা সম্ভব না। আমরা সেটা করতে পারলে যে কোনো কিছু হতে পারে। আশা করব, ফিট খেলোয়াড় দিয়ে সেরা কম্বিনেশন নিয়ে যেন খেলতে পারি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.