আবার এসেছে আষাঢ়

0
164

‘আবার এসেছে আষাঢ়, আকাশ ছেয়ে’ এমন গানের সুরে সত্যিই ‘পুরাতন হৃদয়, পুলকে দুলিয়া’ আবার বেজে ওঠে। মনে পড়ে সেই গান ‘বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল’। আজ পহেলা আষাঢ়। আষাঢ়স্য প্রথম দিবস। পঞ্জিকার হিসাব মতে, আজ পহেলা আষাঢ় হলেও গ্রীষ্মের তাপদাহে এখনও জনজীবন অতিষ্ঠ। গত কয়েক দিন ঢাকাসহ সারাদেশে মুষলধারে বৃষ্টি হলেও মনুষ্য হৃদয়ে এখনও প্রশান্তি মেলেনি।

বর্ষা বাংলা সনের তৃতীয় মাস। বর্ষা মৌসুমে অর্ন্তভুক্ত দুই মাসের প্রথম মাস এটি। আর নামটি এসেছে পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্রে সূর্যের অবস্থান থেকে। বর্ষায় গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। নদীতে উপচে পড়া পানি, আকাশে থাকে ঘন মেঘের ঘনঘটা। বর্ষার ঝুম বৃষ্টি।

এই ঋতুতে সতেজ বাতাসে কদম ফুল, জুঁই, কামিনি, বেলি, রজনীগন্ধা, দোলনচাঁপা আরও কত ফুলের সুবাস ছড়াবে। উপচে পড়া পদ্মপুকুর রঙিন হয়ে ফোটে বর্ষাকে পাওয়ার জন্য। কেয়ার বনেও কেতকীর মাতামাতি। বর্ষার অপেক্ষা করে থাকে কৃষকের চঞ্চল চোখ, অসংখ্য খাল-বিল-নদী ভরে উঠে নতুন পানির স্বচ্ছধারায় ও বৃক্ষেরা পায় নবজীবন।

প্রকৃতির এই বৈচিত্র্যময়তার অপেক্ষায় আছে মানুষ। প্রশান্তি পেতে আজ বর্ষা বন্দনা করা হবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে। বর্ষা উৎসব উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এবারেও বর্ষা উৎসব-১৪৩০ তথা আষাঢ়স্য প্রথম দিবসটির বন্দনা করা হবে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানা-সংলগ্ন মিল ব্যারাকের বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত জেটিতে। সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠানের সূচনা হবে যন্ত্রসংগীত শিল্পী হাসান আলীর বাঁশি বাদনের মধ্য দিয়ে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.