ঢাকায় বিএনপির ডাকা তারুণ্যের সমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রবেশমুখ আবদুল্লাহপুর মোড়ে গতকাল শুক্রবারের তুলনায় আজ শনিবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
মোড়ের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাথায় অবস্থান করছেন পুলিশের সদস্যরা। যানবাহন তল্লাশির পাশাপাশি সাধারণ পথচারীদেরও জিজ্ঞসাবাদ করছেন তাঁরা।
ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-আশুলিয়া সড়ক এসে যুক্ত হয়েছে আবদুল্লাহপুর মোড়ে। এর মধ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ধরে গাজীপুর, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বৃহত্তর ময়মনসিংহের বিভিন্ন জেলাসহ আশপাশের এলাকা থেকে ঢাকায় প্রবেশ করেন মানুষ। ঢাকা-আশুলিয়া সড়ক হয়ে টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জসহ রাজশাহী বিভাগের একাধিক জেলার লোকজন রাজধানীতে প্রবেশ করেন।
আজ দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের মধ্যে ও সড়কের পাশে অবস্থান করছেন ৮ থেকে ১০ জন পুলিশ সদস্য। কোনো প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল বা কোনো পথচারীকে সন্দেহ হলেই তাঁরা গতি রোধ করে তল্লাশি চালাচ্ছেন।
গাজীপুরের বোর্ডবাজার থেকে ঢাকার দক্ষিণখানে যাচ্ছিলেন রিয়াদুল হাসান (৩২)। একটি বাস থেকে নেমে রিকশায় ওঠার জন্য সড়কের পাশ ধরে হাঁটছিলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা একটি বড় ব্যাগ দেখে গতি রোধ করে পুলিশ। পরে পুরো ব্যাগ তল্লাশি করে তাঁকে ছাড়া হয়।
রিয়াদুল বলেন, ‘আমার ব্যাগে কিছু কাপড় আর বই–খাতা। তারা (পুলিশ) ব্যাগ দেখেই আমার পথ আটকে ধরে। আমি বলেছি, “আমার ব্যাগে বই আর কাপড় ছাড়া কিছু নেই।” তা–ও বিশ্বাস করেনি। পরে নিজেরাই পুরা খুইল্যা দেখছে। কিন্তু কিছুই পায় নাই। অযথাই একটা হয়রানি করল।’
তল্লাশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কোনো মোটরসাইকেল আসতে দেখলেই তাঁদের তল্লাশি শেষে নাম–ঠিকানা, এমনকি পরিচয়পত্র তল্লাশি করতেও দেখা যায়। এ সময় কারও কথাবার্তায় সন্দেহ বা কোনো অসংগতি পেলে তাঁদের ফোন নম্বর লিখে রাখতে দেখা যায়।
তল্লাশির বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক সজীব ঘোষ বলেন, ‘এটা আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম। কেউ মাদক বহন বা আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটাতে কোনো পাঁয়তারা করছেন কি না, সেটা দেখার জন্যই আমরা সড়কে অবস্থান করছি। এখানে কাউকে কোনো ধরনের হয়রানি করা হচ্ছে না। তল্লাশি কার্যক্রম চলমান থাকবে।’