বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতন ঘিরে সহিংসতায় বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে সীমিত আকারে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল থেকেই চট্টগ্রামসহ সারাদেশের বেশ কয়েকটি রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে সহিংসতায় ট্রেনের বগি ক্ষতি হওয়ায় তিনটি ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ থাকবে।
সকালে রাজধানীর কমলাপুরে রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ট্রেনের অপেক্ষায় যাত্রী। আর যাত্রীসংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে। রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, যাত্রী সংকটে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। তবে প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন। রেল ও যাত্রীদের নিরাপত্তায় রেল পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও কাজ করছে। আপাতত পারাবত এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস চলাচল করবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনা অনুযায়ী, গত ১২ আগস্ট থেকে চলছে মালবাহী ট্রেন। ১৩ আগস্ট থেকে মেইল, এক্সপ্রেস, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে গত ১৮ জুলাই ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কারফিউ জারির পর ১৯ জুলাই থেকে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়। এরমধ্যে গত ১ থেকে ৩ আগস্ট সীমিত পরিসরে কমিউটার ট্রেন চালু হয়। তবে ৪ আগস্ট রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে রেল কর্তৃপক্ষ।