বাংলাদেশের মডেলিং ইন্ডাস্ট্রির মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যাচেলরদের একজন আজিম-উদ-দৌলা। ব্যাচেলরদের ক্লাব থেকে তাঁর নামটাও এবার কাটা পড়ল। হৃদয় দেওয়া–নেওয়ার কাজটা আগেই সেরেছিলেন। ১২ জানুয়ারি পারিবারিক আবহে আক্দের মাধ্যমে কাগজে–কলমে তাঁর রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস বদলে গেল। এখন তিনি ‘ম্যারিড’। ২০ জানুয়ারি রাজধানীর ক্যান্টনমেন্টের সংরক্ষিত পিকনিক ও বিনোদন স্পট শাহীন দ্বীপে সাড়ম্বরে সারলেন রিসেপশন।
কনে অহনা অরণি হাসান যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরেছেন। ঢাকায় একটি ব্রিটিশ এনজিওর হয়ে সুবিধাবঞ্চিতদের আইনি সহায়তা দেন।
আজিম জানান, বছরখানেক আগে ঢাকাতেই এক অনুষ্ঠানে অহনার সঙ্গে পরিচয়। পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব। তারপর? আজিমের মুখ থেকেই শুনুন, ‘মনে হলো আমাদের সম্পর্কটাকে আরও এগিয়ে নেওয়া যায়। ও একটা সম্পর্ককে এত সম্মান করে, এত কেয়ারিং—আমি এই মানুষটাকে হারাতে চাইনি। মনে হলো, মানুষটাকে জীবনসঙ্গী করার সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। তাই আর সময় নিইনি। আট মাস কেবল বন্ধু ছিলাম। চার মাস ডেট করেছি। তারপর বিয়ে করে ফেলেছি।’ বিয়ের পর এই দুজন আছেন ধানমন্ডিতে।
রিসেপশনে কনের পরনে ছিল লাল বেনারসি, ওপরে সোনালি জরি আর চুমকি পুঁতিতে ভারি জারদৌসি ও এমব্রয়ডারির কাজ। হাতে লাল বটুয়া আর জমকালো পাড়ের লাল নেটের ওড়না। আজিমের পরনে ছিল ঘিয়েরঙা শেরওয়ানি, ওপরে ছিল নিখুঁত সুতায় নকশা বোনা। পাশাপাশি কনের সঙ্গে মিলিয়ে লাল রঙের ওড়না। পাগড়িতেও ছিল সোনালি আর লালের সমন্বয়।
একটু গুছিয়ে নিয়ে ইউরোপে হানিমুনে যাবেন এই নবদম্পতি। তবে কবে, কোথায় যাবেন তা এখনো ঠিক করেননি।
দেশের প্রথম সারির মডেলদের একজন আজিম-উদ-দৌলা। দেশে তো বটেই যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, প্যারিস আর ভারতের অনেক ফ্যাশন শো ও ফটোশুটে অংশ নিয়েছেন তিনি। কান ও প্যারিস ফ্যাশন উইক থেকেও মিলেছে পুরস্কার আর সম্মাননা। তরুণদের অনেকেই অনুসরণ করেন আজিমের স্টাইল ও ফ্যাশন। ছেলেদের জন্য নিজেই গড়ে তুলেছেন এ জেড নামের ব্র্যান্ড।