বাংলাদেশের বাঁ-হাতি স্পিন নিয়ে কেভিন পিটারসন একসময় বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে খেলতে যাওয়া ভয়ঙ্কর ব্যাপার। তাদের সব বাঁ-হাতি স্পিনার, এদিকে আমি বাঁ-হাতি স্পিন খেলতে পারি না। বাংলাদেশ বাঁ-হাতি স্পিনারদের স্বর্গ। রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতেও তারা বাঁ-হাতে স্পিন বল করে।’
শুধু পিটারসন নয় এখনও ইংল্যান্ড দলের অনেকে বাঁ-হাতি স্পিনে দুর্বল। ওদিকে বাংলাদেশ দলে আছেন সাকিব-নাসুমের মতো বাঁ-হাতি স্পিনার। আছেন মুস্তাফিজ ও শরিফুলের মতো বাঁ-হাতি পেসার। কিন্তু ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার থেকে সাংবাদিকরা পর্যন্ত সাকিব-মুস্তাফিজ অপেক্ষা বেশি ভয় পাচ্ছেন ধর্মশালার আউটফিল্ড নিয়ে।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার যেমন বলেছেন, ‘আউটফিল্ড নিয়ে উদ্বেগ আছে। আমার মতে, এটি বাজে। এজন্য আমরা এটা নিয়ে কথা বলছি। মাঠে ড্রাইভ দিতে সতর্ক থাকতে হবে। দলগত লড়াইয়ে আমরা সব সময়ই চাইবো ড্রাইভ দিয়ে রান বাঁচাতে। কিন্তু এখানকার আউটফিল্ড ড্রাইভ দেওয়ার জন্য মোটেও আদর্শ নয়।’
বাটলারের পর বাংলাদেশের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে আসে রঙ্গনা হেরাথ। তাকে একের পর এক আউটফিল্ড নিয়ে প্রশ্ন করেছেন ইংলিশ সাংবাদিকরা। তবে হেরাথের মুখ থেকে ‘বাজে’, ‘উদ্বিগ্ন’ টাইপের শব্দ বের করতে পারেননি নাক উঁচু ব্রিটিশ সাংবাদিকরা।
আউটফিল্ড নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হেরাথ বলেছেন, ‘দু’দিন আগে এখানে আমরা খেলেছি, মাঠ কেমন আচরণ করে তা আমরা জানি। সেভাবে মানিয়ে নিতে হবে।’ খেলোয়াড়দের ফিল্ডিংয়ের সময় বাধা-নিষেধ থাকবে কিনা এমন প্রশ্নে বলেছেন, ‘আমরা কাউকে কোন কিছু করতে নিষেধ করবো না। তাতে খেলোয়াড়রা শতভাগ দিতে পারবেন না।’
এমন আউটফিল্ডে খেলা রাখায় কোন অভিযোগ আছে কিনা ইংলিশ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে হেরাথ জানিয়েছেন, আইসিসি যেহেতু ম্যাচ খেলার অনুমতি দিয়েছে, তাদের কোন সমস্যা নেই। তবে শেষে বাংলাদেশের সাংবাদিকের করা প্রশ্নে হেরাথ জানিয়েছেন, সাধারণত টুর্নামেন্টের শুরুতে আউটফিল্ড এমন হয় না। বৃষ্টি বা অন্য কারণে অনেক সময় এমনটা হয়ে যায়। আউটফিল্ড ঠিকঠাক থাকলে তো এতো অভিযোগ আসতো না।’