আইপিএলের ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের ৮টিরই ভারতের বাইরেও দল আছে। এর মধ্যে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মালিকদের দল আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রসহ চারটি দেশের টি–টোয়েন্টি লিগে।
বছরের বেশির ভাগ সময় কোনো না কোনো লিগ থাকছে বলে খেলোয়াড়দের সারা বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ করাতে চায় মালিকপক্ষ। এরই মধ্যে ইংল্যান্ডের ৬ ক্রিকেটারকে প্রস্তাব দেওয়ার খবর সামনে এসেছে। এটি বাস্তবায়িত হলে ক্রিকেট বোর্ড বা দেশ নয়, এই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মালিকেরাই হবেন ক্রিকেটারদের মূল নিয়োগকর্তা। বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে কয়েকটি দেশের ক্রিকেট বোর্ড। ব্যাপারটি যে এখনই গুরুত্ব দিয়ে ভাবা দরকার, সে বার্তা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও।
আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর বাৎসরিক চুক্তি প্রস্তাব নিয়ে আজ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের এজেন্ট নিল ম্যাক্সওয়েল রয়টার্সকে জানান, ইংল্যান্ডের মতো অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদেরও চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, ‘কয়েকজন অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়ের সঙ্গে এরই মধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে। একাধিক ক্লাবে চুক্তির জন্য তাদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’
এর মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের জগৎ যে দ্রুতই পাল্টে যাচ্ছে, সেটিই বললেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার কামিন্স। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের লোভনীয় অঙ্কের অর্থ প্রস্তাব এড়ানো সহজ নয় বলে মন্তব্য তাঁর, ‘সামনে খেলোয়াড়দের এমন অনেক সুযোগ আসছে, যেগুলোকে “না” বলা সত্যিই কঠিন। কারণ, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আছে। আমি মনে করি, বাস্তবতা মেনে অতীতের চেয়ে ভিন্নভাবে খেলোয়াড় সামলানোর কাজটি করতে হবে।’
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বাৎসরিক চুক্তির বিষয়ে ভাবা শুরু করেছে কয়েকটি দেশের ক্রিকেট বোর্ড। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া গত মাসে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের বেতন সাড়ে ৭ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বিগ ব্যাশেও বেতন বাড়ানো হয়েছে।
প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের দেশের চুক্তিতে ধরে রাখতে ইসিবি (ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড) ম্যাচ ফি বৃদ্ধি ও একসঙ্গে একাধিক বছরের চুক্তি করার পরিকল্পনা করছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।