এক বছর আগে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলা শুরুর কয়েক দিন আগে রাশিয়ার সঙ্গে ‘বন্ধুত্বের সীমা নেই’ বলে ঘোষণা দিয়েছিল চীন। এ কারণে ইউক্রেনে রুশ হামলার নিন্দা জানাতে দেখা যায়নি চীনকে। ইউক্রেন যুদ্ধের বর্ষপূর্তির দিন ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ বন্ধে চীনের পক্ষ থেকে ১২ দফার একটি শান্তি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
১২ দফার শান্তি প্রস্তাব প্রকাশের দিনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সংঘাত ও যুদ্ধে কারও লাভ নেই।’ এতে আরও বলা হয়, সব পক্ষকে যৌক্তিক আচরণের পাশাপাশি সংযম দেখাতে হবে। আর চলমান সংঘাত আরও অবনতির দিকে ঠেলে দেওয়া কিংবা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ঠেকাতে হবে।
এদিকে চীনের শান্তি প্রস্তাবের বিষয়টি গুরত্বের সঙ্গে নিয়েছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা করছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে বেইজিংয়ের দেওয়া ‘শান্তি প্রস্তাব’ নিয়ে আলোচনা করতেই এ বৈঠক করতে চান তিনি।
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন দাবি করেন, চীন ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে। রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে চীনকে সতর্ক করেন তিনি। তবে চীনের পক্ষ থেকে ব্লিঙ্কেনের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলা হয়, চীন নয় বরং যুক্তরাষ্ট্রই ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাচ্ছে।