অস্ট্রেলিয়ার ঘূর্ণিতে ৯৭ রানেই শেষ বাংলাদেশের মেয়েরা

0
116
একের পর এক উইকেট হারিয়ে ৯৭ রানে থেমেছে বাংলাদেশের মেয়েরা

আগের ম্যাচের ভুল শুধরে সিরিজে ফেরার আশার কথা শুনিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ব্যাটিংয়ে অন্তত সেটি হয়ে থাকল শুধু কথার কথা হয়েই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং নিয়ে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ৯৭ রানেই। প্রথম ওয়ানডেতে পরে ব্যাটিং করে ৯৫ রানে অলআউট হয়েছিল স্বাগতিকেরা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আজ নয় নম্বরে নামা নাহিদা আক্তার করেছেন ইনিংস-সর্বোচ্চ ২২ রান। এ নিয়ে দশমবার ১০০-এর নিচে অলআউট হলো বাংলাদেশ।

এমনিতে স্পিন বোলিংকে ধরা হয় বাংলাদেশের অন্যতম শক্তি। এবার প্রতিপক্ষের সেই স্পিনেই নাভিশ্বাস উঠে গেছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ান স্পিনাররাই নেন ৯ উইকেট। ১০ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন ২০২১ সালের পর প্রথমবার ওয়ানডে খেলতে নামা সোফি মলিনিউ। এ বাঁহাতি স্পিনার করেছেন ৫টি মেডেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে এক ইনিংসে যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ।

মেঘাচ্ছন্ন কন্ডিশনে সকালে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে বাংলাদেশের দুই ওপেনার শুধু টিকেই থেকেছিলেন, সে অর্থে রান তুলতে পারেননি। ফারজানা ও সোবহানা নড়বড়ে থাকলেও অবশ্য দ্রুতই উইকেটের দেখা পায়নি অস্ট্রেলিয়া। তারা প্রথম ব্রেকথ্রু পায় নবম ওভারে, মেগান শুটকে কাট করতে গিয়ে সোবহানা মোস্তারি হন কট বিহাইন্ড। প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে আসে মাত্র ১৭ রান, এর মধ্যে অতিরিক্ত রানই ছিল ৯।

সোবহানার উইকেটের পর ফারজানা ঢুকে যান আরও খোলসের মধ্যে, মুর্শিদার সঙ্গে উইকেটে শুধু সময় কাটানোই লক্ষ্য ছিল তাঁর। তবে সেটি সফল হয়নি। মলিনিউকে তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দেন তিনি ৫২ বলে ৭ রান করে। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩.৪৬-বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে কমপক্ষে ৫০ বলের ইনিংসে যা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।

ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা

মুর্শিদা খাতুন ও নিগার সুলতানা এরপর ফেরেন পরপর দুই ওভারে। গার্ডনারকে কাট করতে গিয়ে পয়েন্ট ক্যাচ দেন মুর্শিদা, বাংলাদেশ অধিনায়ক এলবিডব্লু হন মলিনিউর লাইন মিস করে। ২৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা স্বাগতিকদের একটু আশা জুগিয়েছিলেন রিতু মনি ও ফাহিমা খাতুন।

ওই দুজন ব্যাটিংয়ের সময়ই ইনিংসে ব্যাট থেকে প্রথম বাউন্ডারিটি আসে ২০তম ওভারে, সোফি মলিনিউর বলে মারেন ফাহিমা। তবে তাঁদের ৩৬ বলে ২৫ রানের জুটি প্রবল ধস ঠেকাতে পারেনি কিছুতেই। নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন ৬০ রানের স্কোরও চোখ রাঙাচ্ছিল তখন।

৯ রানের মধ্যে এরপর পড়েছে ৪ উইকেট। মলিনিউকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে রিতু মনির পর অ্যালানা কিংয়ের বলে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন ফাহিমা। জর্জিয়া ওয়ারেহামের শিকার এরপর স্বর্ণা আক্তার ও রাবেয়া খান। নাহিদা আক্তার, সুলতানা খাতুন ও স্বর্ণা আক্তার অবশ্য এরপর একটু অপেক্ষায় রাখেন অস্ট্রেলিয়াকে।

শেষ ২ উইকেটে আসে ৩৬ রান। শেষ পর্যন্ত কিংকে তুলে মারতে গিয়ে নাহিদা ক্যাচ তুললে ৪৪.১ ওভারেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ইনিংসের পরের ভাগে মিরপুরের আকাশে মেঘ ভেদ করে সূর্য উঁকি দিয়েছে একটু করে, তবে বাংলাদেশের ইনিংসের আঁধার তাতে কাটেনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.