রাজধানীর নয়াপল্টনে বুধবার পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে শটগান হাতে সেই ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি আনসার বাহিনীর একজন সদস্য। নাম মাহিদুর রহমান, দায়িত্ব পালন করেন রাজধানীর পল্টন থানায় (অঙ্গীভূত)।
মাহিদুরের পরিচয় সামনে আসার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, বাহিনীর ইউনিয়নফর্ম না পরে সিভিল ড্রেসে কেন অপারেশনে অংশ নিয়েছেন? এ বিষয়ে পুলিশের একাধিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বৃহস্পতিবার কথা হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জরুরি ডাকে নয়াপল্টনে অপারেশনে যোগ দেওয়ায় পোশাক পরিবর্তনের সুযোগ পাননি মাহিদুর।
পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের নিয়ম আছে, যেকোনো অপারেশনের জন্য জরুরি নির্দেশ এলে যে যে অবস্থায় থাকবে সে অবস্থায় তাকে কাজে যোগ দিতে হবে। মাহিদুরের ক্ষেত্রে সে ঘটনাই ঘটেছে। তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি ডাকে নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে অপারেশনে যোগ দেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ সিভিল ড্রেসেই অপারেশনে অংশ নিতে পারে, তাতে আইনের লঙ্ঘন হয় না।
এর আগে বুধবার পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের সময় আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে শটগান হাতে এক ব্যক্তির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনেকে আর্জেন্টিনার জার্সি পরিহিত ওই ব্যক্তিকে ছাত্রলীগ কর্মী বলে দাবি করেন। এরপর তার পরিচয় নিয়ে নানা মহলে আলোচনা শুরু হয়। তবে বৃহস্পতিবার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শটগান হাতে আর্জেন্টিনার জার্সি পরা ওই ব্যক্তি ছাত্রলীগ কর্মী নন, তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।