২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের অধীনে ২০১৯ সালে ব্রহ্মপুত্র নদের খননকাজ শুরু হয়। প্রায় চার বছর ধরে খনন চলে এলেও এখনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। বরং অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন ব্রহ্মপুত্র বেশি নাব্যতা সংকটে ভুগছে। অপরিকল্পিত খননের কারণেই মূলত এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
আজ শনিবার ময়মনসিংহ শহরের আশপাশে ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন পয়েন্টে গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে যায় নাগরিক সংগঠন জন–উদ্যোগ। সেখানে এসব কথা বলেন সংগঠনটির সদস্যরা।
ব্রহ্মপুত্র নদ খননের ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকার সঠিক ব্যবহার ও নদ-নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে সচেতনতামূলক উদ্যোগ হিসেবে এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়।
জন–উদ্যোগের কর্মীরা জানান, আজ মিডিয়া ক্যাম্পেইনের জন্য একটি নৌকা ভাড়া করে নদের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করার কথা ছিল। ওই সময় বিভিন্ন স্থানে নদীর গভীরতা ও প্রস্থ পরিমাপ করার কথা ছিল। কিন্তু খরার কারণে নৌকায় যাওয়া সম্ভব হয়নি। নৌকা চলার মতো পানিও নেই অনেক পয়েন্টে। পরে হেঁটে ও সড়ক পথে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে নদীর অবস্থা পরিদর্শন করেন সংগঠনের সদস্যরা।
জন–উদ্যোগের আহ্বায়ক আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অপরিকল্পিত খননের কারণেই ব্রহ্মপুত্র এখন আগের চেয়ে খরায় পড়েছে। আমরা চাই, সরকারের টাকার সঠিক ব্যবহার। সরকারের ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা খরচ করে যে খনন হবে, তার সুফল যেন মানুষ পায়। জন–উদ্যোগের এ ক্যাম্পেইনের ওপর ভিত্তি করা একটি প্রতিবেদন পরবর্তী সময়ে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক বরাবার দেওয়া হবে।’
ব্রহ্মপুত্র খননে প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মহসিন মিয়া বলেন, খনন যথাযথ নিয়মেই হচ্ছে। প্রাকৃতিক কারণে যেসব জায়গায় চর পড়ছে, সেসব জায়গায় আবারও খনন করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই যেসব চর পড়েছে, সেসব স্থানে আবারও খননকাজ চলবে।