কোনো ব্যক্তির অনলাইনে একাধিক জন্মসনদ থাকলে তাঁকে তাঁর সুবিধামতো একটি জন্মসনদ রাখার সুযোগ দেওয়া হবে। ব্যক্তিকে এ সুযোগ দিতে বিদ্যমান নিয়মে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে ‘রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন’।
এখন যে নিয়ম রয়েছে, তা হলো, কোনো ব্যক্তির অনলাইনে একাধিক জন্মনিবন্ধন থাকলে যেটি আগে হয়েছে, সেটি রেখে বাকিগুলো বাদ যাবে। তবে সে ক্ষেত্রে যাঁরা জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টে প্রথমটির পরিবর্তে দ্বিতীয় বা তৃতীয় জন্মসনদের নম্বর ব্যবহার করেছেন, তাঁরা বিপাকে পড়েন। এ অবস্থা বিবেচনা করে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় (জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন) বিদ্যমান নিয়মে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে।
জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার জেনারেল (জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন) মো. রাশেদুল হাসান ১২ এপ্রিল বলেন, ‘কারও অনলাইনে দুটি জন্মসনদ থাকলে প্রথমটি রেখে বাকিটা বাদ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কারও প্রথম জন্মসনদে কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করে দেওয়া হয়। এখন এ নিয়মে বদল আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ব্যক্তির দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনায় নিয়ে আমরা তাঁকে পছন্দমতো বাছাইয়ের সুযোগ দেব। ব্যক্তি তাঁর প্রয়োজন ও সুবিধামতো একাধিক জন্মসনদের মধ্যে যেটি রাখতে চান, সেটি রাখতে পারবেন। বাকিটা বাদ দেওয়া হবে।’
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের সময় একাধিক জন্মসনদ থাকা ব্যক্তির কোন জন্মসনদটি রাখা হবে, সে বিষয়েও গত ৩০ মার্চ নতুন নির্দেশনা দিয়েছে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় (জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন)।
সূত্র জানায়, একাধিক জন্মসনদ থাকা ব্যক্তি জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে চাইলে তাঁর কোন জন্মসনদটি যথার্থ হবে, তা জানতে চেয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে (জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন) একাধিক চিঠি পাঠায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ মার্চ রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় (জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন) থেকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়। রেজিস্ট্রার জেনারেল (জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন) মো. রাশেদুল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে তিনটি নির্দেশনার কথা বলা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, একই ব্যক্তির যদি একাধিক (দুটি অর্থে) জন্মসনদ অনলাইনে থাকে, তাহলে তাঁকে একটি বাতিল করার জন্য নির্দেশনা দিতে হবে। অনলাইনে দুটি জন্মনিবন্ধন থাকা অবস্থায় তার ওপর ভিত্তি করে ব্যক্তিকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া যাবে না।
নির্দেশনায় বলা হয়, একই ব্যক্তির যদি একটি আগের পদ্ধতিতে হাতে লেখা (ম্যানুয়াল) ও আরেকটি অনলাইনে জন্মসনদ থাকে, তাহলে অনলাইনে অর্থাৎ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের সফটওয়্যারে (বিডিআরআইএস) থাকা তাঁর সনদটি যথার্থ বলে ধরতে হবে।
সাধারণত, একই ব্যক্তির দুটি অনলাইন জন্মনিবন্ধন থাকলে যেটি আগে করা হয়েছে, সেটি বহাল রাখা হয় বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। এখন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় (জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন) এই নিয়ময়েই বদল আনতে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তারা ব্যক্তিকে যেকোনো একটি জন্মসনদ বেছে নেওয়ার সুযোগ দেবে।