অটিজমসহ অন্যান্য স্নায়ুবিক সমস্যাজনিত প্রতিবন্ধী শিশু ও ব্যক্তিদের শিক্ষা কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনপ্রাপ্ত ও অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকেরা নানান জটিলতায় আছেন। অনেকে রাজপথে আন্দোলনে নেমেছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এর প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের ওপর।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন এমপিওভুক্ত বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ৭৪টি। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের ১০০ জনের বেশি শিক্ষক বিএসএড (ব্যাচেলর অব স্পেশাল এডুকেশন) ডিগ্রিধারী না থাকায় বেতন বন্ধ হয়ে গেছে। তাঁরা রাজপথে আন্দোলন করছেন। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেও এমপিওভুক্ত হচ্ছে না, এমন প্রতিষ্ঠান আছে ৫৭টি।
প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। এর বাইরে হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় আছে। তবে অনুমোদন পাওয়ার আগেই মাঠপর্যায়ে এসব প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সরকারের অনুমোদন নিয়ে বা অনুমোদন ছাড়া পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াতে অভিভাবকদের ক্ষেত্রবিশেষে হাজারো টাকা খরচ করতে হচ্ছে। তবে অভিভাবকেরা বলছেন, নজরদারির অভাবসহ বিভিন্ন কারণে যাচ্ছেতাই সেবা পাচ্ছেন তাঁরা। অটিস্টিক শিশু ও ব্যক্তিদের জন্য কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষিত করার বিষয়টিতেও সেভাবে নজর দেয়নি সরকার।
এমন বাস্তবতায় আজ রোববার ‘রূপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য নিউরোবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠন’—এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশে বেশ ঘটা করে ১৬তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালন করছে সরকার। দিবসটি উপলক্ষে সচিবালয়সহ সব সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকে দুই রাত নীল বাতি প্রজ্বালন করা হবে।
এ বছর অটিজম বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখায় ১০ জন ব্যক্তি ও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সম্মাননা দিচ্ছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটি হচ্ছে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়। বিশেষ সম্মাননা পেতে যাচ্ছে নওগাঁর আমবাটি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়।
এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঁখি আকতার বলেন, স্কুলটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পায় ২০২০ সালে। আটজন শিক্ষক ও কর্মচারী মিলে মোট জনবল ১৮ জন। নিবন্ধিত ২৪০ শিক্ষার্থীর মধ্যে নিয়মিত শিক্ষার্থী ১৭১ জন। এর মধ্যে ১৩৫ জনই অটিস্টিক। আঁখি আকতারের শাশুড়ি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী আলতাফুন নেসা বিদ্যালয়ের জন্য জমি দিয়েছেন। তিনতলা ফাউন্ডেশনের মধ্যে বর্তমানে দুইতলার কাজ চলছে।
আঁখি আকতার বলেন, ‘আমরা সরকারি বেতন পাই না। যাঁরা কাজ করছি, তাঁরা সেবার মনোভাব নিয়েই কাজ করছি। সরকারের নীতিমালা মেনে স্কুলটি পরিচালনা করছি। সরকারের পক্ষ থেকে স্কুলে সরেজমিন পরিদর্শনও শেষ হয়েছে। বর্তমানে স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণের সার্বিক সহায়তায় স্কুলটি চালানো সম্ভব হচ্ছে।’
সম্মাননা পেতে যাওয়া আরেকটি প্রতিষ্ঠান লালমনিরহাটের আদিতমারী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের পরিস্থিতি অবশ্য ভালো। এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হালিমা বেগম জানালেন, তাঁর বিদ্যালয়ের ১০ জন সরকারি এমপিওভুক্ত। ১২০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৫ জন অটিস্টিক। স্কুলটিতে শিক্ষার্থীরা বিনা মূল্যে পড়ছে। তবে সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর যে অনুপাত থাকার কথা, তা নেই বলেও জানালেন এ প্রধান শিক্ষক।
আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষকেরা
এমপিওভুক্ত ৭৪টি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের ১০০ জনের বেশি শিক্ষক রাজধানীর শাহবাগ মোড়সহ বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন করছেন দীর্ঘদিন ধরে। এসব শিক্ষক বিএসএড ডিগ্রিধারী নন বলে গত অক্টোবর থেকে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না। রাজধানীর সুইড ল্যাবরেটরি মডেল স্কুলের জ্যেষ্ঠ সংগীত শিক্ষক স ম খায়রুল ইসলাম বলেন, ২০১৯ সালের বিশেষ শিক্ষা নীতিমালার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বেতন-ভাতা পুরোপুরি স্থগিত করে তাঁদের জীবনকে মহাসাগরে ফেলে দিয়েছে। বেতন-ভাতা স্থগিতের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করলে আদালত তা স্থগিতের আদেশ দেন। কিন্তু এতেও কর্ণপাত করছে না সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন।
৫৭টি বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সরাসরি রাজপথে আন্দোলন না করলেও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ বেসরকারি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষক ফোরামের সভাপতি নাটোরের সিমানুর রহমান। তিনি বলেন, ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্কুলগুলোর মধ্যে ৫৭টি স্কুল এমপিওভুক্ত হয়নি। এসব স্কুল এমপিওভুক্তির জন্য ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে অনলাইনে আবেদন করেছে। তার পর থেকে মন্ত্রণালয় থেকে শুধু বলা হচ্ছে, বিষয়টি দেখছে, যাচাই-বাছাই করছে।
সিমানুর রহমান বলেন, যাচাই-বাছাই করে যেসব স্কুল নীতিমালা মেনে চলছে, সেগুলোকে দ্রুত এমপিওভুক্ত করুক সরকার। শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন পাচ্ছেন না, তার প্রভাব অটিস্টিকসহ অন্য প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ওপর পড়ছে।
ছায়া প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিমানুর রহমান জানালেন, ২০১৫ সালে তাঁর স্কুলটি সরকারের অনুমোদন পায়। ১৮ জন শিক্ষক কর্মরত। ২৯১ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫২ জন অটিস্টিক। জনগণের টাকায় কেনা ৪৪ শতাংশ জায়গায় স্কুলটি পরিচালনা করা হচ্ছে। ৫৭টি স্কুলে মোট শিক্ষক ৬৮৯ জন, কর্মচারী ৪৯২ জন। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ হাজার ৭৫১। এ পর্যন্ত বেতন না পেয়েই অবসরে গেছেন ১৫ শিক্ষক, মারা গেছেন ১৪ জন। আর বেতন না পেয়ে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ২১ জন শিক্ষক।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রতিষ্ঠান ও প্রতিবন্ধকতা) বলাই কৃষ্ণ হাজরা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নাম করে অনেকে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে চাচ্ছে, এটা দুঃখজনক। তাই সরকার যাচাই-বাছাই করে স্কুলের অনুমোদনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেবে। এটি একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে, তাই একটু সময় লাগছে। সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন। যাচাই-বাছাইপ্রক্রিয়ায় কোনো সমালোচনা হোক, সরকার তা চায় না।
লাভ কতটুকু হয়েছে
জাতীয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তি জরিপ (এনএসপিডি) প্রতিবেদন ২০২১ অনুযায়ী, দেশে মোট চার লাখ নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মধ্যে ৭৮ হাজার অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তি রয়েছেন। অটিজম ও অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিজঅর্ডারস, ডাউন সিনড্রোম, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিতা ও সেরিব্রাল পাসলি—এ চার ধরনের প্রতিবন্ধিতাকে নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধিতা বলা হয়।
সোসাইটি ফর দ্য ওয়েলফেয়ার অব দ্য ইন্টেলেকচুয়ালি ডিজঅ্যাবলড বাংলাদেশ-সুইড বাংলাদেশের মেন্টর জওয়াহেরুল ইসলাম মামুন বলেন, ১৯৭৭ সালে চারজন অটিস্টিক শিক্ষার্থীসহ নয়জন শিক্ষার্থী নিয়ে সুইড বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করেছিল। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের কল্যাণী ইনক্লুসিভ স্কুল যুক্ত হয়। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ১৯৯৩ সালে রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় বিশেষ শিক্ষাকেন্দ্র চালু করে। চট্টগ্রামেও স্কুল চালু করে।
২০০৯ সালে প্রতিবন্ধিতা-সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করে। এতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এ ধরনের স্কুল পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পায়। এরপর অনুমোদনহীনভাবে যেখানে-সেখানে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় স্থাপনে নিরুৎসাহিত করাসহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রতিবন্ধিতা-সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০১৯ প্রণয়ন করে। তখন প্রায় ২ হাজার ৬০০ প্রতিষ্ঠান স্কুল চালুর জন্য আবেদন করে। যাচাই-বাছাইয়ে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বাদ যায়।
বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক মেয়ের বাবা জওয়াহেরুল ইসলাম মামুন বলেন, অটিস্টিক, সেরিব্রাল পালসি বা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশু ও ব্যক্তিরা নিজেদের ভালো নিজেরা বুঝতে পারেন না। ফলে তাঁরা কিছু বলতেও পারেন না। ২০১৩ সালে সরকার নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন করেছে। আইন, নীতি অনেক কিছু থাকলেও বলতে গেলে ২০১০ সালের পর বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো উন্নতি হয়নি। এসব শিশুর পড়ার জন্য একীভূত শিক্ষার কথা বললেও মূল ধারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়নি।
গত বছর ২ এপ্রিল এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সরকারি হিসাবে চট্টগ্রামে অটিজমের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন লোকের সংখ্যা ১৪ হাজারের বেশি। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের বয়স ২০ বছরের মধ্যে। কিন্তু তাঁদের মধ্যে হাজারখানেক শিশু-কিশোর ১৪টি বিশেষায়িত স্কুলের সুবিধা পাচ্ছে। এর মধ্যে সাতটি বিদ্যালয় ছিল সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধিত।
নজর দিতে হবে কারিগরি শিক্ষায়
রাজধানীর মহাখালীতে অটিজমসহ অন্যান্য স্নায়ুবিক সমস্যাজনিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য পরিচালিত কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র পিডিএফএ-ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সাজিদা রহমান ড্যানি। তিনি বলেন, অটিস্টিক, সেরিব্রাল পালসি বা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুদের অনেকেই পড়াশোনা করতে পারে না। যারা পড়াশোনা করতে পারবে না, তাদের জন্য হাতে-কলমে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে যাতে কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে, সেভাবে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।
সাজিদা রহমান বলেন, যেসব শিশু ও ব্যক্তিরা স্কুল থেকে ঝরে পড়ে, তাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তাঁর প্রতিষ্ঠান। এ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে। সাজিদা রহমানের ২৮ বছরের বেশি বয়সী ছেলে সিয়ামুল করিম একজন অটিস্টিক (হাই ফাংশনিং) ব্যক্তি। ব্রিটিশ কাউন্সিলের অধীনে তিনি এ লেভেল পরীক্ষা দিলেও তা সম্পন্ন করতে পারেননি। বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ডিউটি ফ্রি শপে কাজ করছেন।
মোহাম্মদপুরের শেখেরটেকে ২০১৭ সাল থেকে অটিজম কেয়ার অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট সেন্টারটি পরিচালনা করছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারি ফারহানা শারমিন। শিক্ষক এবং থেরাপিস্ট আছেন ১২ জন। শিক্ষার্থী আছে ২৫ জন।
ফারহানা শারমিন বলেন, অটিস্টিক, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুরা একটু বড় হয়ে গেলে বিভিন্ন স্কুল তাদের ভর্তি নিতে চায় না। অভিভাবকেরাও একটু দম নেওয়ার জন্য চান কোনো প্রতিষ্ঠানে দিতে। বড় হয়ে যাওয়া বা স্কুল থেকে ঝরে পড়াদের এ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ভর্তি ফি ২৫ হাজার টাকা এবং মাসিক আট হাজার টাকা বেতন নেওয়া হচ্ছে।
সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে কয়েকজনকে বিনা মূল্যেও শেখাতে হচ্ছে। তিনি বলেন, এ ধরনের শিশুদের থেরাপিসহ শিক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাই প্রতিষ্ঠানগুলো খরচ পোষানোর জন্যই বেশি বেতন নিচ্ছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান তাঁর প্রতিষ্ঠানের চেয়েও বেশি বেতন নিচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।