
আওয়ামী লীগের ভোট নিজেদের পক্ষে নেওয়ার জন্য বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী রীতিমতো প্রতিযোগিতা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, এই ভোট টানতে তাঁদের কিছু নমুনা দেখাতে হবে। তখন আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা তুলে নেওয়ার কথাও বলা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া বাজারে এক মতবিনিময় সভায় নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। ‘ইলেকশনস ডায়ালগ: ইওর পার্টি ভোটার কোয়েশ্চেনস’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে ডেইলি স্টার।
সভায় নাহিদ ইসলাম বলেন, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর আসন কুমিল্লার দেবীদ্বারে ঘটা করে ২০০ আওয়ামী লীগের কর্মী বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। সেখানে জুলাই গণহত্যা মামলার আসামিরাও রয়েছেন। এটা শুধু একটা উদাহরণ, এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে।
আওয়ামী লীগ প্রশ্নের সমাধান করা যায়নি উল্লেখ করে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ট্রুথ কমিশন গঠনের আলাপ উঠলেও সেটি হয়নি। সমাজে যারা আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে তবে গণহত্যা বা সন্ত্রাসে জড়িত ছিল না, তাদের নাগরিক বা রাজনৈতিক অধিকার থাকতে পারা বা যেকোনো দলে যোগ দিতে পারে, সেটা স্পষ্টভাবে বলতে হবে। এই পার্থক্য করা উচিত ছিল।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ফ্যাসিস্ট দলকে সমর্থন করা অপরাধ। তবে তারা ক্ষমা চেয়ে সমাজে রিহ্যাবিলেটেড (পুনর্বাসিত) হতে পারে।
এ সময় সভার সঞ্চালক ডেইলি স্টারের উপদেষ্টা সম্পাদক কামাল আহমেদ নাহিদ ইসলামকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কি রিকনসিলিয়েশন কমিশন করার পক্ষে?’
জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা এটা করার পক্ষে।’ তিনি বলেন, এটা যদি না হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের প্রশ্নটি বারবার আসবে এবং এটি দলগুলোকে ভোগাবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।

















