২০২৩ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ হন ইনফ্লুয়েন্সার শাম্মী ইসলাম নীলা। তারপর অভিনয়ের শুরু। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ক্যাপিটাল ড্রামার ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে তাঁর ওয়েব ফিল্ম ‘ফার্স্ট লাভ’।
প্রশ্নঃ দর্শকের জন্য ‘ফার্স্ট লাভ’–এ চমক কী আছে?
শাম্মী ইসলাম : ‘ফার্স্ট লাভ’—প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছি, এটাই তো বড় চমক। এত দিন সবাই আমাকে এদিক-ওদিক ভিডিওতে অল্প অল্প দেখত, যেমন টিভিসি, ওবিসি বা বিভিন্ন শর্ট ভিডিও। এবার লম্বা সময়ের জন্য পর্দায় দেখবে। যাঁরা আগে থেকে আমাকে চেনেন, তাঁরা আমার বদলটা বুঝতে পারবেন। পুরো গল্পে আমার চরিত্রের যে জার্নি, সেখানে কান্না-হাসি নানা কিছুই আছে।

শাম্মী ইসলাম : এই ফিল্মে কিছু অংশ আছে, যেখানে হিরোকে বিদায় জানাচ্ছি, আমার বাস্তব জীবনের যে হিরো (স্বামী), সে–ও দেখা যায় আমার কাছে আসে, আবার চলে যায়—যেহেতু সে দেশের বাইরে থাকে। তাকেও এ রকমভাবেই বিদায় দিতে হয়। তবে পর্দায় বিদায়টা কেমন, জানতে পুরো গল্পটা দেখতে হবে। এই গল্পে কাজ করতে গিয়ে, আমার চেয়ে বন্ধুদের জীবনের অনেক মুহূর্তের মিল পেয়েছি। এ কারণে এই চরিত্রে অভিনয় করাটা সহজ হয়েছে, আবেগটা আমার মধ্যে অনুভব করেছি এবং চরিত্রে তা প্রয়োগ করেছি।
প্রশ্নঃ আপনার জীবনের ‘ফার্স্ট লাভ’ সম্পর্কে যদি বলেন…
শাম্মী ইসলাম : প্রথম প্রেম সবার জীবনেই আসে। কখনো এটা একদিক থেকে হয়, আবার কখনো উভয় দিক থেকে। আমার বাবা অনেক কঠোর ছিলেন, তাই প্রথম প্রেম করাটা অতটা সৌভাগ্যের হয়নি। আমি বিশ্বাস করি, ফার্স্ট লাভ, সেকেন্ড লাভ যেটাই বলি না কেন, লাস্ট লাভটাই আসল—যেটা এখন আমার স্বামীর সঙ্গে চলছে।

শাম্মী ইসলাম : বাস্তবে নীলা অনেক বেশি প্র্যাকটিক্যাল। সে ইনোসেন্টও। কিন্তু সে জানে কীভাবে সবকিছু স্মার্টলি ডিল করতে হয়। গল্পের চরিত্রের নীলা অনেক বেশি আবেগপ্রবণ। আমি পর্দার নীলাকে বলব, ছেলেদের ভালো লাগা, ভালোবাসা থাকতে পারে। জোর করে কাউকে ভালোবাসার দরকার নেই। নিজেকে ভালোবাসো, নিজেকে ভালোবাসলে সবাইকে ভালোবাসতে পারবে।
প্রশ্নঃ ভালোবাসা সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি সময়ের সঙ্গে কীভাবে পরিবর্তন হয়েছে?
শাম্মী ইসলাম : ভালোবাসা চাইলে সবকিছুর মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়। ভালোবাসা শুধু নাটক–সিনেমায় সীমাবদ্ধ থাকবে, তা নয়। কাজের প্রতি ভালোবাসা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কোনো কিছু যত্নে রাখলে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়। মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সবকিছু যদি সুন্দরভাবে করা যায়, কাজের প্রতি সম্মান, মানুষের প্রতি সম্মান—তাহলে ভালোবাসা সব জায়গায় দেখতে পাব। নির্দিষ্ট মানুষকে খুঁজে ভালোবাসতে হবে, এমনটা আমি বিশ্বাস করি না।

শাম্মী ইসলাম: আমার পরিবারে কেউ অভিনয় মাধ্যমে ছিল না। পরিবারের সেই রেকর্ডটা আমি ভাঙতে চাই। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমার পরের প্রজন্মের কাউকে না কাউকে এই অঙ্গনে দেখতে চাই, তা অভিনয়, নাচ কিংবা গান—যে ক্ষেত্রেই হোক। আমি তাদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করব, পাশে থাকব।

শাম্মী ইসলাম : বড় পর্দা ও ছোট পর্দা আমরা তৈরি করি—অভিনয় দেখানোর জন্য পর্দা খোঁজার দরকার নেই। অভিনয়শিল্পী যদি ভালো অভিনয় করে মানুষের মনে জায়গা করে নিতে পারে, মানুষই তাদের খুঁজে বের করবে। আমার কাজ যদি আমার দর্শকের ভালো লাগে, মানুষ আমাকে খুঁজবে। আমি চাইব, আমার কাজগুলো আরও বেশি মানুষ দেখুক। এ–ও চাইব, আমার চেয়ে সবাই কাজের প্রেমে বেশি পড়ুক।


















