বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে তা ৩১.১৪ বিলিয়ন বা ৩১ হাজার ১৪০ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে।
তবে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) নির্ধারিত বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ বর্তমানে ২৬.৪২ বিলিয়ন বা ২৬ হাজার ৪২০ মিলিয়ন ডলার।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ তথ্য প্রকাশ করে।
সবশেষ তথ্যানুযায়ী, ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ৩১১০০ দশমিক ১৬ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২৬৩৯৩ দশমিক ০৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিশ্ব মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন। সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এখন প্রায় সীমান্তরেখা অতিক্রম করে কিছুটা ভালো অবস্থায় আছে। প্রবাসী আয়, রপ্তানি আয়, বৈদেশিক ঋণ ও বিনিয়োগ থেকে আসা ডলারই মূলত রিজার্ভ গড়ে তোলে। অন্যদিকে আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ, বিদেশি কর্মীদের পারিশ্রমিক, শিক্ষা ও ভ্রমণ খরচসহ নানা খাতে ডলার ব্যয় হওয়ায় রিজার্ভ হ্রাস পায়।
সম্প্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানো বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফিরেছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হয়নি, বরং উল্টো বাজার থেকে ডলার কিনেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০১৩ সালের জুন শেষে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। পাঁচ বছর পর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলারে। এরপর ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায় এবং একই বছরের অক্টোবরে অতিক্রম করে ৪০ বিলিয়ন ডলার। কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও রিজার্ভ রেকর্ড গড়ে ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট সর্বোচ্চ ৪৮ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলারে ওঠে। তবে পরে ডলার সংকট দেখা দেওয়ায় রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে।
















