জাতীয় ক্রিকেট লিগ: রহিমের ৬ উইকেট, সাত বছর পর জায়েদের ৫ উইকেট

0
19
রাজশাহীর তরুণ পেসার আবদুর রহিম ৭২ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেটবিসিবি

পঞ্চম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনটাকে বোলারদের দিন বলাই যায়। আজ ৬ উইকেট পেয়েছেন রাজশাহীর তরুণ পেসার আবদুর রহিম। সাত বছর পর ৫ উইকেট পেয়েছেন সিলেটের আবু জায়েদ।

রাজশাহী-রংপুর: রহিমের ৬ উইকেট

রাজশাহীতে রংপুরের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১০ রানের লিড নেওয়া রাজশাহী দ্বিতীয় দিন শেষে ২২ রানে এগিয়ে গেছে। দ্বিতীয় দিনটা বিনা উইকেটে ১২ রান তুলে শেষ করেছে দলটি।

এর আগে বিনা উইকেটে ৩৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা রংপুর প্রথম ইনিংসে ২৫৮ রানে অলআউট হয়। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মাত্রই দ্বিতীয় ম্যাচ খেলা রাজশাহীর তরুণ পেসার আবদুর রহিম ৭২ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। রংপুরের তিন ব্যাটসম্যানকে শূন্য রানে ফিরিয়েছেন রহিম। রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেছেন ওপেনার আবদুল্লাহ আল মামুন।

চট্টগ্রাম-সিলেট: সাত বছর পর জায়েদের ৫ উইকেট

বগুড়ায় চট্টগ্রামের প্রথম ইনিংস ১১০ রানে গুটিয়ে দিয়ে ১৪৫ রানের লিড পায় সিলেট। দ্বিতীয় দিন শেষে সেটি বেড়ে হয়েছে ৩৩৮। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৯৩ রান তুলেছে সিলেট।

সাত বছর পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫ উইকেট পেয়েছেন আবু জায়েদ
সাত বছর পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫ উইকেট পেয়েছেন আবু জায়েদ

সিলেটের পেসার আবু জায়েদ ৩৭ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ১১৩ ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ১৩তম বার ৫ উইকেট পেলেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা জায়েদ। বাংলাদেশের হয়ে ১৩টি টেস্ট খেলা জায়েদ এই সংস্করণে সর্বশেষ ৫ উইকেট পেয়েছিলেন ২০১৮ সালে।

সিলেটের দ্বিতীয় ইনিংসে ফিফটি পেয়েছেন অধিনায়ক জাকির হাসান (৬১) ও অমিত হাসান (৫৮*)।

ঢাকা-বরিশাল: অভিষেকে ফিফটি আবদুল্লাহর, সুমনের ৪ উইকেট

প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের ২৮তম সেঞ্চুরিটাকে বড় করতে পারেননি মার্শাল আইয়ুব। কক্সবাজারে আজ ১১৮ রানে দিন শুরু করা ঢাকার ব্যাটসম্যান আউট হয়ে গেছেন আর মাত্র ২ রান যোগ করেই। ৭ উইকেটে ২৪৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা তাঁর দল অলআউট ২৭৩ রানে।

৪ উইকেট পেয়েছেন ঢাকা বিভাগের পেসার সুমন খান
৪ উইকেট পেয়েছেন ঢাকা বিভাগের পেসার সুমন খানবিসিবি ফাইল ছবি

প্রতিপক্ষ বরিশাল দ্বিতীয় দিনটা শেষ করেছে ৫ উইকেটে ২৪৩ রান তুলে। ওপেনার ইফতিখার হোসেন করেছেন সর্বোচ্চ ৭৮ রান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষিক্ত মোহাম্মদ আবদুল্লাহও ফিফটি পেয়েছেন, বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই ব্যাটসম্যান করেছেন ৫৫ রান। ঢাকার পেসার সুমন খান নিয়েছেন ৪ উইকেট।

খুলনা-ময়মনসিংহ: নিরুত্তাপ এক দিন

খুলনায় খুলনা-ময়মনসিংহ ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে উইকেট পড়েছে ৭টি। ৬ উইকেটে ৩২৮ রান নিয়ে দিন শুরু করা খুলনা প্রথম ইনিংসে অলআউট ৩৮৭ রানে। ৪০ রান করেছেন ১৩ রানে দিন শুরু করা আফিফ হোসেন। খুলনার শেষ উইকেটটি তুলে নিয়ে ৪ উইকেট পেয়ে গেছেন শুভাগত হোম।

এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটে ১৭০ রান তুলেছে ময়মনসিংহ। ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ৫৭ রান করেছেন। তিনে নামা আজিজুল হাকিম অপরাজিত আছেন ৪৮ রানে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.