রাজধানীর বাড্ডায় বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির দুই ভবনের মাঝ থেকে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুশফিকুজ্জামান (২০) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে প্রথম বর্ষে পড়তেন। পুলিশ জানায়, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় বিকেলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ তলার ছাদে ওঠেন।
বাড্ডা পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, আজ বিকেলে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ড. ফরাশ উদ্দিন ভবন ও মূল ভবনের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানে থেকে মুশফিকুজ্জামানের লাশ উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এসআই সোহেল রানা বলেন, ঘটনাটি আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা বা না অন্য কিছু, তদন্ত শেষে ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
খবর পেয়ে সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে ছুটে আসেন মুশফিকুজ্জামানের বাবা বি এম মুখলেছুজ্জামান ও চাচা মনিরুজ্জামান মনির। মুখলেছুজ্জামান বলেন, তিন চার দিন আগে পড়াশোনা নিয়ে কয়েক সহপাঠীর সঙ্গে মুশফিকুজ্জামানের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল। বিষয়টি তার মায়ের কাছ থেকে তিনি জানতে পেরেছেন। ছেলে বলেছিল, তারা তাকে ছাদে নিয়ে যেতে চাইতো। এরই মধ্যে আজ এমন ঘটনা ঘটল।
মনিরুজ্জামান মনির প্রথম আলোকে বলেন, মুশফিক তাঁর মা-বাবার সঙ্গে খিলগাঁওয়ে ব্লকে থাকতেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে মুশফিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি মর্গে এসেছেন। মুশফিক এক ভাই, এক বোনের মধ্যে বড়।
তবে সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজে মুশফিকুজ্জামানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ তলার ছাদে উঠতে দেখা গেছে। সেখানে অন্য কেউ ছিলেন না। ধারণা করা হচ্ছে, মুশফিকুজ্জামান ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে মারা গেছেন।


















