ইথিওপিয়ায় প্রথমবারের মতো মারবার্গ ভাইরাস শনাক্ত, কীভাবে ছড়ায়?

0
16

পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ায় প্রাণঘাতী মারবার্গ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। প্রথমবারের মতো এ ভাইরাস-সৃষ্ট রোগের প্রাদুর্ভাব নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওমো অঞ্চলে ৯ জনের দেহে জীবাণুটি শনাক্ত হওয়ার পরই এ কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর আলজাজিরা।

ভাইরাল হেমোরেজিক ফিভার সন্দেহে রোগ পরীক্ষা করতে গিয়ে ধরা পড়ে মারবার্গ ভাইরাসের উপস্থিতি। ইবোলা ভাইরাসের সমগোত্রীয় ফিলোভাইরাস মারবার্গকে আরও তীব্র ও প্রাণঘাতী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)-এর তথ্য অনুযায়ী, এখনও এ ভাইরাসের কোনো টিকা বা নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত জ্বর, র‍্যাশ, এবং তীব্র রক্তক্ষরণের শিকার হয়ে থাকে। মূল উৎস বাদুড় হলেও, সংক্রমিত ব্যক্তির শরীরের তরল বা দূষিত বস্তু স্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় এ জীবাণু।

মারবার্গ ভাইরাস কী ও কীভবে ছড়ায়?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর তথ্য অনুসারে, প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাসের সমগোত্রীয় হলো মারবার্গ। ১৯৬৭ সালে জার্মানির মারবার্গ ও ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং সার্বিয়ার বেলগ্রাদে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর ৩১ জন আক্রান্ত ও ৭ জনের মৃত্যুর পর প্রথম মারবার্গ ভাইরাস শনাক্ত হয়। আফ্রিকান সবুজ বানর এবং শূকর এই ভাইরাসের জীবাণু বহন করে। মানুষের মধ্যে এটি ছড়ায় প্রধানত বাদুড়ের বসবাস আছে এমন গুহা ও খনিতে দীর্ঘদিন অবস্থান করা ব্যক্তির মাধ্যমে।

এছাড়াও মানুষের মধ্যে এটি ছড়ায় দৈহিক তরল এবং আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত স্পর্শের মাধ্যমে। এমনকি সুস্থ হওয়ার পরও বেশ কয়েক মাস আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত বা বীর্য থেকে অনেকের মধ্যে ভাইরাসটি ছড়াতে পারে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.