
কালক্ষেপণ করে গণভোটকে জাতীয় নির্বাচনের দিন নেওয়ার চেষ্টা না করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ার করেছে জামায়াতে ইসলামীসহ আট দল। তারা বলেছে, গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগেই হতে হবে। এই দাবি মেনে নেওয়া না হলে আগামী ১১ নভেম্বর জনসভা থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
আজ শনিবার জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) ঢাকা মহানগর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আট দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে তাদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তা নিয়ে মতভেদ তৈরি হয়। বিএনপি ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে জামায়াতসহ আট দল গণভোট আগে করার দাবি তুলেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে মতৈক্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে। জামায়াত আলোচনার জন্য প্রস্তাব দিলেও বিএনপি তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
আট দলের নেতারা এ প্রসঙ্গ বলেন, বিএনপি তাঁদের আহ্বানে রাজি না হলেও বিএনপি যদি তাঁদের আহ্বান জানায় তাহলে তাঁরা সাড়া দেবেন।
বৈঠকে পাঁচ দাবিতে আগামী ১১ নভেম্বর রাজধানী ঢাকায় জনসমাবেশ সফল করা নিয়ে আলোচনা হয়।
দলগুলোর পাঁচ দফা দাবি হলো—জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং আদেশের ওপর জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে গণভোট আয়োজন; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে অথবা উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; গত ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
জাগপা সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধানের সভাপতিত্বে আট দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমিন, খেলাফত মজলিসের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সাখাওয়াত হোসাইন ও যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইজহার চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির আবদুল মাজেদ আতাহারী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব ইউসুফ সাদেক হাক্কানি ও নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী, জাগপা সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবু নাসের নূর নবী জনি ও অর্থ সম্পাদক রিয়াজ হোসাইন বক্তব্য রাখেন।
















