প্রথম আলোর সঙ্গে একই বছর জন্মেছেন অভিনেত্রী আইশা খান। তাই তিনি মনে করেন, তাঁর জীবনে যা কিছু ভালো, তার সঙ্গে সব সময়। শৈশব থেকে আজকের পেশাজীবন—সব পথেই এই সংবাদমাধ্যম তাঁর প্রেরণার জায়গা বলে মনে করেন এ অভিনেত্রী।

শৈশবের নস্টালজিয়া
আইশা খানের শৈশবের অন্যতম আবেগের জায়গা ছিল ‘রস+আলো’। প্রতি সোমবার থাকতেন এর অপেক্ষায়। শৈশব–কৈশোরের সব আনন্দ যেন তিনি এর মাঝে খুঁজে পেতেন। মজা করেই অভিনেত্রী বলেন, ‘তখন পড়াশোনার জীবন অনেক কঠিন লাগত। ‘‘রস+আলো’’ আমাকে স্বস্তি দিত।’ আইশার বাড়িতে সপ্তাহে চার দিন আসা ছিল আবশ্যক। মূল পত্রিকা না পড়লেও তিনি ডুবে থাকতেন—‘রস+আলো’, ‘নকশা’, ‘আনন্দ’, আর ‘গোল্লাছুট’–এ। এ ছাড়া ‘বেসিক আলী’ আর ‘ন্যান্সি’ কার্টুন তাঁর শৈশবের নস্টালজিয়া হয়ে রয়ে গেছে। অভিনেত্রী বলেন, ‘একই বছর আমার আর জন্ম, তাই সংবাদপত্রটির যেকোনো সাফল্য আমার আবেগকে ছুঁয়ে যায়।’
অভিনয়জীবনে প্রথম আলো
২০২২ সালে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পায় আইশা খানের প্রথম ওয়েব ফিল্ম ‘দাগ’। সে সময় তাঁকে নিয়ে একটি ফিচার প্রকাশিত হয়েছিল, যেটিকে নিজের ক্যারিয়ারের অনুপ্রেরণার উপলক্ষ হিসেবে দেখেন এ অভিনেত্রী। আইশা বলেন, ‘ওই সংবাদটা আমার জন্য অনেক বড় মোটিভেশন ছিল। এটি আমার মধ্যে ভালো কাজ করার ক্ষুধা জন্ম দিয়েছে। সব সময় ভেবেছি, ভালো কাজ করতে হবে, ভালো কাজের সঙ্গে থাকতে হবে।’ প্রথম আলো তাঁকে শুরু থেকেই নতুন শিল্পী হিসেবে সামনে এনেছে, এটাই তাঁর কাছে সবচেয়ে আনন্দের বলে মনে করেন এ অভিনেত্রী।

বিশ্বাস, ভালোবাসা ও প্রত্যাশা
আইশা খান মনে করেন, তাঁর প্রতিটি ভালো কাজের সঙ্গে প্রথম আলো কোনো না কোনোভাবে যুক্ত থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তাঁর প্রত্যাশা— যেভাবে নতুনদের এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে, সেই সমর্থন অব্যাহত থাকবে সব সময়। আর একটি বিশেষ চাওয়া তাঁর, ‘‘‘রস+আলো’’ ফিরে আসুক!’ আর কিশোর আলো’কে আইশা শুধু একটি ম্যাগাজিন নয়, বরং একটি বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে দেখেন। তাঁর ভাষায়, কিশোরদের জন্য এখানে আলাদা এক পাঠের জগৎ তৈরি করা হয়েছে—যেখানে তারা নিজেদের ভাবনা, কৌতূহল আর স্বপ্নকে ছড়িয়ে দিতে পারে।’ সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিনি মনে করেন, স্কুল-কলেজপড়ুয়াদের জন্য মাসিক কোনো পত্রিকা বা নতুন উদ্যোগ প্রথম আলো নিলে পাঠকদের মধ্যে আবারও সংবাদপত্র পড়ার আগ্রহ বাড়বে।


















