চাকসু নির্বাচনে প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে: প্রধান নির্বাচন কমিশনার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনারে প্রধান অধ্যাপক মনির উদ্দিন। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে প্রথম আলোকে তিনি এ তথ্য জানান।
অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে সব কেন্দ্রের তথ্য আসেনি। তবে সার্বিকভাবে বলা যায়, প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন। সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবনে ৬৭ দশমিক ১৭ শতাংশ, আইটি ভবনে ৭২ শতাংশ এবং বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে ৬৯ শতাংশ ভোটারের ভোট পড়েছে।’
চাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬ জন। আজ সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।

অভিযোগ দেওয়ার পরও অসহায়ত্ব দেখিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার: ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়নি অভিযোগ তুলে চাকসু নির্বাচন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার এই নির্বাচনে কলঙ্কিত অধ্যায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বারবার অভিযোগ দেওয়ার পরেও অসহায়ত্ব দেখিয়েছেন, দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। আমরা মনে করি, উনাদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত।’
সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সার্বক্ষণিক নিরবচ্ছিন্ন এলইডি স্ক্রিন থাকবে। কিন্তু আমরা দেখলাম বিভিন্ন কেন্দ্রে এলইডি স্ক্রিন বারবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। আমরা দেখেছি যেখানে অন্য প্রার্থীরা ঢুকতে পারেননি, সেখানে ইসলামী ছাত্রশিবির ও ছাত্রী সংস্থার প্রার্থীরা গিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। আমরা বারবার অভিযোগ জানানোর পরেও নির্বাচন কমিশনার ব্যবস্থা নেননি।’
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী শাফায়াত হোসেন অভিযোগ করেন, নতুন কলা অনুষদ ভবনের সামনে তিনিসহ কয়েকজনের ওপর বহিরাগতরা হামলার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম সেভাবে হয়নি। আমরা চেয়েছিলাম একটা সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।’