
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী নৌযানের বহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ থেকে আটক ১৭১ জন মানবাধিকারকর্মীকে ফেরত পাঠিয়েছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে গাজামুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ৪০টির বেশি নৌযান সাগরে আটকে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। তারা নৌযানগুলোয় থাকা প্রায় ৪৭০ মানবাধিকারকর্মীকে আটক করে।
ইতিমধ্যে ফ্লোটিলার বেশ কিছু সদস্যকে ফেরত পাঠিয়েছে ইসরায়েল। তাঁরা দাবি করেছেন যে ইসরায়েলের আটককেন্দ্রে থাকা অবস্থায় তাঁরা বাজে আচরণের শিকার হয়েছেন।
তবে ইসরায়েল এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফ্লোটিলাকে ‘পিআর স্টান্ট’ বলে উল্লেখ করেছে। তারা আরও বলেছে, আটক মানবাধিকারকর্মীদের আইনগত অধিকার রক্ষা করা হয়েছে। মানবাধিকারকর্মীরা ‘মিথ্যা প্রচার’ চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েল।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বার থুনবার্গকে ফেরত পাঠাল ইসরায়েল। এর আগেও তিনি সমুদ্রপথে গাজায় পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলেন। তখনো সফল হননি।
ইসরায়েল জানিয়েছে যে ১৭১ জনকে গ্রিস ও স্লোভাকিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে গ্রিস, ইতালি, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, সুইডেন, পোল্যান্ড, জার্মানি, বুলগেরিয়া, লিথুনিয়া, অস্ট্রিয়া, লুক্সেমবার্গ, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, স্লোভাকিয়া, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, সার্বিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক রয়েছেন।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরে থাকা মানুষেরা গাজার ওপর আরোপিত নৌ–অবরোধ ভাঙতে চেয়েছিলেন। তাঁরা অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের কাছে প্রতীকী ত্রাণ পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন। তবে ইসরায়েলি বাহিনী সেসব নৌযান আটকে দেয় এবং অধিকারকর্মীদের আটক করে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন অধিকারকর্মীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।