ডাকসুর চূড়ান্ত প্রার্থী: ২৮ পদে প্রার্থী ৪৭১ জন, নারী ৬২ জন

0
23
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)

আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এবার ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর মধ্যে নারী প্রার্থী আছেন ৬২ জন।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট চৌধুরী ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয়ের সামনে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনে ২৮ জন প্রার্থী তাঁদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এ ছাড়া প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়ায় বাদ পড়া ১০ জন প্রার্থী আপিল না করায় তাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে চূড়ান্তভাবে ৪৭১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, ডাকসুতে ৪৭১ প্রার্থীর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে ১১ জন, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ ছাড়া ১৩টি সদস্য পদে ২১৭ জন প্রার্থী হয়েছেন।

চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘেঁটে দেখা গেছে, এবার ডাকসুর বিভিন্ন পদে ৬২ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যাঁদের মধ্যে ভিপি পদে ৫ জন, জিএস পদে একজন, এজিএস পদে ৪ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ২ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ১ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ৯ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ৩ জন, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে ২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৩ জন, সাহিত্য ও সংস্কৃতিক পদে ২ জন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে ৩ জন এবং সদস্য পদে ২৫ জন নারী প্রার্থী রয়েছেন।

নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আশা করছি যে আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর আমাদের আস্থা আছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার যথাসম্ভব প্রস্তুতি নিয়েছে এবং শিক্ষার্থীরাও প্রস্তুত। তাঁদের মধ্যে আমরা বিপুল পরিমাণ উৎসাহ দেখেছি। প্রার্থীদের মধ্যেও উৎসাহ দেখেছি। ভোটে অংশগ্রহণ করার জন্য ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ দেখেছি। এই উৎসাহ, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি অক্ষুণ্ণ থাকলে এখানে একটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

ভোটকেন্দ্র বাড়ানোর বিষয়ে প্রার্থীদের দাবির বিষয়ে অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রার্থীদের দাবিগুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছি। আমরা ভোটের দিনের ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেছি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্র আমরা সরেজমিনে দেখে এসেছি। সেখানে রুমের আয়োজন, বুথের আয়োজন আমরা দেখে এসেছি। আমাদের হিসাব অনুযায়ী আট কেন্দ্রেই সুষ্ঠুভাবে ভোট পরিচালনা হওয়ার কথা। কিন্তু এটা শেষ কথা না। যদি কেন্দ্র আরও প্রয়োজন হয়, তাহলে ভাবা যেতে পারে। কিন্তু আপাতত আমাদের যে পরিকল্পনা আছে, সেখান থেকে সরে যাওয়ার খুব শক্ত কোনো কারণ দেখছি না।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.