আগামী ৩০ আগস্ট রোজ শনিবার ২০২৫খ্রি: শলকবাসির ২১তম মহাসংঘদান অনুষ্ঠান আয়োজনের সকল প্রস্তুতির সর্বশেষ সভাটির মাধ্যমে আয়োজক কমিটি আজ রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে সুসম্পন্ন করেছে। গতকাল জুরাছড়ি শলক শাখা বনবিহারে ১২৬ ফুট বুদ্ধমুর্তিটির দর্শন ও ফাং করে মহাসংঘদান অনুষ্ঠান আয়োজনের সুচনা করা হয়েছে।

সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের জীবিত থাকাকালিন সময় হতে প্রতি বছর শলকবাসি রাজবন বিহারে মহাসংঘদান অনুষ্ঠান আয়োজন করে আসছে। যদিও ২৫ ডিসেম্বর তারিখে ১৯৮৬ সাল হতে প্রতি বছর রাজবন বিহারে সমীরা দেওয়া( রুচিরামা) এর উদ্যোগে সার্বজনিন মহাসংঘদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

শলকবাসির মহাসংঘদান উদযাপন কমিটি ২২ আগস্ট রোজ শুক্রবার রাঙ্গামাটি হতে শতাধিক পূণ্যার্থীসহ দুটি বোট যোগে সকাল ৭টায় জুরাছড়ি শলক শাখা বনবিহারের উদ্দেশে রওনা দেয়। সেখানে আরো অপেক্ষামান পূণ্যার্থীসহ বুদ্ধপতাকা শোভিত র্যালীর মাধ্যমে ১২৬ফুট বুদ্ধমূর্তিটি চারিদিকে প্রদক্ষিণ করে পুষ্প অঘ্যসহকারে ‘‘ইতিপি সো ভগবা অরহং সম্মা সমবুদ্ধ বিজ্জাচারণ সম্পন্ন সুগতো লোকবিদু অনুত্তরো পুরিসো ধম্মা সারতি সত্তা দেবা মনুসানং বুদ্ধ ভগবাতি’’ সমবেত স্বরে উচ্চারিত করে।

পুষ্পাঘ্য মাধ্যমে বুদ্ধকে ফাং শেষে বুদ্ধের কাছে প্রার্থনা ও অনুষ্ঠান আয়োজনে সকল বাধা বিপত্তি অন্তরায় উপদ্রব হতে মুক্তির জন্য আর্শিবাদ কামনা করা হয়।

এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন জুরাছড়ি শলক শাখা বনবিহারে সভাপতি প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ধল কুমার চাকমা, প্রাক্তন উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমাসহ আরো উপস্থিত রয়েছেন বিহার পরিচালনা কমিটির অন্যান্য সদস্য ও পূর্ণ্যার্থীবৃন্দ।

বুদ্ধের নিকট আর্শিবাদ প্রার্থনা ও অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রচারক চাকমা।