শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে কিছু গণমাধ্যমকে সতর্ক করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এই সতর্কবার্তা জানিয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার বক্তব্য কেউ ভবিষ্যতে প্রকাশ করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার আইন ও আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের একটি ভাষণ কিছু গণমাধ্যম প্রচার করেছে। সেখানে শেখ হাসিনা মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং বর্তমানে তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারাধীন। আইন অনুসারে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে । সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ অনুসারে, যেকোনো ব্যক্তি বা সংগঠন যারা তাদের নেতাদের কার্যকলাপ বা বক্তৃতা প্রচার, প্রকাশ বা সম্প্রচার করে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, টেলিভিশন, অনলাইনে ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত অপরাধী এবং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক আসামি আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনার অডিও সম্প্রচার এবং প্রচার ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্বৈরশাসকের ঘৃণা ছড়ায়, এমন বক্তব্য সম্প্রচার নিষিদ্ধ করেছে।
সংবাদমাধ্যমগুলোকে শেখ হাসিনার অডিও এবং বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা ও সহিংসতা উসকে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি বক্তব্য প্রচার করার ক্ষেত্রে সতর্কতা ও দায়িত্বশীলতা অবলম্বন করার আহ্বান জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘তার (শেখ হাসিনা) মন্তব্য, বক্তৃতা এবং তার যেকোনো উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার, পুনঃপ্রচার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার ঝুঁকি তৈরি করে। এটি কেবল জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য কাজ করে। এ ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ অমান্যকারী যেকোনো সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশের আইনের অধীনে আইনি জবাবদিহির আওতায় পড়বে।’