টানা বর্ষণ ও বন্যায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের শিকার পাকিস্তান, নিহত ২৯৯

0
17
মৌসুমি বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হয়েছে পাকিস্তান

মৌসুমি বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হয়েছে পাকিস্তান। বন্যার পানি নেমে গেলেও ভেসে উঠেছে ধ্বংসের চিত্র। শুধু সম্পদের ক্ষতিই নয়, প্রাণহানিও ঘটেছে ব্যাপক।

পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) কর্তৃক জারি করা সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৬ জুন থেকে কয়েক সপ্তাহের বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় দেশটির ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে কমপক্ষে ২৯৯ জন প্রাণ হারিয়েছে, যার মধ্যে ১৪০ জনই শিশু। এছাড়া তীব্র আবহাওয়াজনিত দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৭১৫ জন। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।

এনডিএমএ’র তথ্য অনুযায়ী, এবারের বন্যায় নিহত ২৯৯ জনের মধ্যে ১৪০ শিশু ছাড়াও পুরুষ ১০২ জন এবং নারী ৫৭ জন। এছাড়া আহত ৭১৫ জনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে তাদের মধ্যে ২৩৯ জন শিশু, ২০৪ জন মহিলা এবং ২৭২ জন পুরুষ ছিলেন।

এবারের বন্যা পরিস্থিতিতে মোট ২২৩টি উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছে এনডিএমএ। সংস্থাটি বলছে, গত এক মাসের দুর্যোগে ১ হাজার ৬৭৬টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৫৬২টি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রাণ হারিয়েছে ৪২৮টি গবাদিপশু। এছাড়া ২ হাজার ৮৮০ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে ৪ থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টি ও ঝড়সহ ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই সময়ের মধ্যে ভারী বৃষ্টি হতে পারে খাইবার পাখতুনখাওয়া, পাঞ্জাব ও ইসলামাবাদে। গিলগিত-বালতিস্তানে বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে ৫ আগস্ট থেকে। এছাড়া বেলুচিস্তানে তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশি থাকবে, তবে ৬ আগস্ট পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় মৌসুমি বৃষ্টি হলেও অপর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ও ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে ধ্বংসাত্মক পরিণতি ডেকে আনে এই বৃষ্টি।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.