এশিয়ান কাপে প্রতিপক্ষ হিসেবে চীন ও উত্তর কোরিয়ার মতো শক্তিশালী দলকে পেলেও ভালো কিছু করার আশা ছাড়ছেন না বাংলাদেশের নারী খেলোয়াড়েরা।
আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় এএফসি নারী এশিয়ান কাপে বাংলাদেশের গ্রুপে পড়েছে এশিয়ার দুই সফল দল চীন ও উত্তর কোরিয়া। অন্য প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান। প্রতিপক্ষ হিসেবে শক্তিশালী দলকে পেলেও ভালো কিছু করার আশা ছাড়ছেন না বাংলাদেশের তারকা ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা চাকমা।
মিয়ানমারে বাছাইপর্বে ৫ গোল করেছিলেন ঋতুপর্ণা। বর্তমানে ভুটানের ক্লাব পারো এফসিতে খেলছেন তিনি। সেখান থেকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বললেন, ‘আমরা শক্তিশালী দলের সঙ্গে খেলব। এতে আমাদের অভিজ্ঞতা আরও বাড়বে। আমরা হাল ছাড়ব না। যদিও কঠিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে হবে।’
মেয়েদের এশিয়ান কাপে সবচেয়ে সফল দল চীন। ১৯৮৬ সাল থেকে ১৪ বার এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ ৯ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন চীনা মেয়েরা। শুধু এশিয়া নয়, বিশ্ব ফুটবলেও চীনের বেশ দাপট। ১৯৯১ থেকে আটবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে একবার রানার্সআপ হয়েছে দেশটি। ৩ মার্চ এই চীনের বিপক্ষে খেলেই এশিয়ান কাপে অভিষেক হবে বাংলাদেশের।

৬ মার্চ দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ র্যাঙ্কিংয়ের ৯ নম্বর দল উত্তর কোরিয়া। ১৯৮৯ থেকে এখন পর্যন্ত ১০ বার এশিয়ান কাপ খেলা দেশটি ২০০১, ২০০৩ ও ২০০৮ সালে শিরোপা জিতেছে। এই দুই দলের চেয়ে উজবেকিস্তান তুলনামূলক কম শক্তিশালী। তারা পাঁচবার এই টুর্নামেন্টে খেললেও কোনোবারই গ্রুপ পর্বের চৌকাঠ পেরোতে পারেনি। ৯ মার্চ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তাদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
তিন দলের মধ্যে একমাত্র উজবেকিস্তানের সঙ্গেই ২০১১ সালে অলিম্পিক বাছাইয়ে খেলেছেন মেয়েরা। সেই ম্যাচটি ৩-০ গোলে হারে বাংলাদেশ। যদিও অতীত নিয়ে ভাবতে চান না ঋতুপর্ণা। উল্টো ভয় তাড়িয়ে সুন্দর ফুটবল খেলার কথাই বললেন তিনি, ‘আসলে ভয়ের কিছু নেই। আমরা তো বাছাইয়েও বড় বড় দলের সঙ্গে খেলেছি। এখন কোরিয়া ও চীনের সঙ্গে খেলব। যতটা সম্ভব ভালো করার চেষ্টা থাকবে।’
২০২৬ সালের ১ থেকে ২১ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ ভেন্যুতে হবে এশিয়ান কাপের ২১তম আসর। সেই লড়াইয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা আট দলের সুযোগ থাকবে ২০২৭ ব্রাজিল বিশ্বকাপ এবং ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে খেলার।

চূড়ান্ত পর্বের আগে সাত মাস পাবেন মেয়েরা। এই সময়ে নিজেদের ভালোভাবে তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ। আরেক ফরোয়ার্ড তহুরা খাতুন বললেন, প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বেশি বেশি ম্যাচ খেলার কথা, ‘এটা আমাদের জন্য কঠিন একটা লড়াই। তবে আমরা চেষ্টা করব ভালো ফুটবল খেলার। সে জন্য টুর্নামেন্টের আগে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে। সেই সঙ্গে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচও খেলতে হবে।’