চট্টগ্রামে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে গুলি করে খুনের অভিযোগের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বলেন, নগরের কোতোয়ালি থানার একটি হত্যা মামলায় কারাগারে আটক ফজলে করিমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খালিদ মাহমুদ। ভার্চ্যুয়াল শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট নগরের লালদীঘি পাড় এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মাদ্রাসাশিক্ষার্থী নিজাম উদ্দিন (২১)। এ ঘটনায় তাঁর বাবা সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এতে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীসহ ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও দেড় শ জনকে আসামি করা হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিলে সংসদ সদস্য পদ হারান ফজলে করিম চৌধুরী। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। এরপর গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে একটি হেলিকপ্টারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগার থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। আদালতে হাজির করা হলে ফজলে করিমের প্রিজন ভ্যানে ডিম ছুড়ে মারেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। এর পর থেকে তাঁকে আর আদালতে হাজির করা হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোতে ভার্চ্যুয়াল শুনানি হয়।