
ট্রফি জিতেছে চেলসি। তবে ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রাপ্তির হাসি শুধু দলগত নয়, ব্যক্তি পর্যায়েও আছে। কেউ জিতেছেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার, কেউবা সেরা গোলদাতা আর কেউবা সেরা গোলকিপারের। ফাইনালের মঞ্চে কার হাতে কোন স্বীকৃতি উঠল এ নিয়ে তাই ভক্ত-সমর্থকদের কৌতূহলও কম নয়।
৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল জিতেছেন কোল পালমার। ২৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড ফাইনালে চেলসির তিন গোলের সঙ্গেই জড়িত ছিলেন। দুটি করেছেন নিজে, আরেকটি করিয়েছেন। এর আগে পালমেইরাসের বিপক্ষেও একটি গোল করেছেন।
গোলের দিক থেকে পালমার অবশ্য টুর্নামেন্ট সেরা নন। ৩ গোলের সঙ্গে ২ অ্যাসিস্ট—এর চেয়ে বেশি আছে আরও চারজনের। তবে টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি গোল-প্রচেষ্টা তাঁরই—২১টি।

শুধু গোলের জন্য যে স্বীকৃতি, সেই গোল্ডেন বুটের পুরস্কারটা জিতেছেন গনসালো গার্সিয়া। রিয়াল মাদ্রিদের ২১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড করেছেন মোট ৪ গোল। তাঁর মতো ৪ গোল আছে বেনফিকার আনহেল দি মারিয়া, ডর্টমুন্ডের সেরহু গিরাসি আর আল হিলালের মার্কোস লিওনার্দোরও।
তবে গার্সিয়া এগিয়ে গেছেন অ্যাসিস্টের কারণে। বাকি তিনজন শুধু গোলই করেছেন, রিয়াল ফরোয়ার্ডের আছে এক গোলে সহায়তাও। এর বাইরে ব্যক্তিগত পর্যায়ে দেওয়া হয়েছে আরও দুটি পুরস্কার। সেরা গোলকিপারের গোল্ডেন গ্লোভ জিতেছেন চেলসির রবার্ট সানচেজ আর সেরা উদীয়মান পিএসজির দেজিরে দুয়ে।
এই পুরস্কার বিজয়ীরা চূড়ান্ত হয়েছেন ফিফা টেকনিক্যাল স্টাডি গ্রুপের ভোটে, যার প্রধান ফিফা চিফ অব গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্ট আর্সেন ওয়েঙ্গার।