টম হ্যাঙ্কসের পছন্দের ৭ সিনেমার মধ্যে ১ নম্বরে কোনটি

0
33
টম হ্যাঙ্কসের পছন্দের ৭ সিনেমার মধ্যে ১ নম্বরে কোনটি

বিশ্বের কোটি ভক্তের পছন্দের তারকা টম হ্যাঙ্কস। তাঁর অভিনীত ‘ফরেস্ট গাম’, ‘সেভিং প্রাইভেট রায়ান’, ‘কাস্ট অ্যাওয়ে’ সিনেমাগুলো দেখেননি, এমন সিনেমাপ্রেমী খুঁজে পাওয়া যাবে না। দুইবার অস্কারজয়ী ভক্তদের প্রিয় তারকা টম হ্যাঙ্কসের পছন্দের সিনেমার তালিকায় কোন কোন নাম আছে, শুনলে চমকে যাবেন। তাঁর পছন্দের সাতটি সিনেমার মধ্যে শীর্ষ সিনেমায় রয়েছে চমক। যে সিনেমা দেখে মাথা ঘুরেছিল টম হ্যাঙ্কসের। আজ টম হ্যাঙ্কসের জন্মদিন। তিনি ১৯৫৬ সালের ৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন। একনজরে দেখে নিতে পারেন টম হ্যাঙ্কসের পছন্দের সিনেমার তালিকা।

শুরুতেই তালিকা দেখে মনে হতে পারে এটি হয়তো টম হ্যাঙ্কসের পছন্দের তালিকার ১ নম্বরে জায়গা করে নেওয়া সিনেমা। আসলে তা নয়। টম হ্যাঙ্কস যুক্তরাষ্ট্রের মাফিয়াদের নিয়ে নির্মিত সিনেমা ‘দ্য গডফাদার’কে ৭ নম্বরে রেখেছেন। এই তালিকার শেষে। ফান্সিস ফোর্ড কপোলা তাঁর পছন্দের নির্মাতাদের একজন।

‘দ্য গডফাদার’ ছবির পোস্টার। ছবি: আইএমডিবি
‘দ্য গডফাদার’ ছবির পোস্টার। ছবি: আইএমডিবি

এই শীর্ষ তালিকার ৬ নম্বরে রয়েছে গুস ভান সেন্ট পরিচালিত সিনেমা ‘এলিফ্যান্ট’। সিনেমাটি ২০০৩ সালে মুক্তি পায়। সিনেমাটি নিয়ে আলোচনা–সমালোচনা এখনো হয়। সিনেমাটি দুজন বঞ্চিত শিক্ষার্থীর ক্ষোভ প্রকাশ নিয়ে। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে সহকর্মী ও শিক্ষকদের খুন করে। ক্যাম্পাসের দুই শিক্ষার্থী হঠাৎ গোলাগুলি করে। ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সিনেমাটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে স্বর্ণপাম পুরস্কার বা ‘পাম দর’ জিতে নেয়। পরে এই সিনেমার মতো ঘটনা বাস্তবেও ঘটেছিল যুক্তরাষ্ট্রে। তখন ধরে নেওয়া হয়েছিল যে এই সিনেমা দেখেই শিক্ষার্থীরা এমন ঘটনা ঘটানোর ধারণা পেয়েছেন। কারণ, একই কায়দায় অতর্কিত হামলা করেন শিক্ষার্থীরা।
কোয়েন ব্রাদার্স নির্মিত জনপ্রিয় সিনেমা ‘ফার্গো’। সিনেমাটি বহুল আলোচিত। এটি ১৯৯৬ সালে মুক্তি পায়। প্রথমবার সিনেমাটি দেখে অবাক হয়েছিলেন টম হ্যাঙ্কস। এই সিনেমাকে তিনি পছন্দের তালিকায় ৫ নম্বরে রেখেছেন।

‘মিডনাইট কাউবয়’ সিনেমার পোস্টার। ছবি: আইএমডিবি
‘মিডনাইট কাউবয়’ সিনেমার পোস্টার। ছবি: আইএমডিবি

সিনেমা দেখার সময় সহকর্মীদের অভিনয় বেশ মনোযোগ দিয়ে দেখেন টম হ্যাঙ্কস। অনেকের অভিনয় তাঁর মনে গেঁথে যায়। সে রকমই একটি সিনেমা ‘মিডনাইট কাউবয়’। ১৯৬৯ সালের এই সিনেমায় ডাস্টিন হফম্যান ও জন ভয়িথের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন টম হ্যাঙ্কস। গ্রামের এক কাউবয় বাসে করে টেক্সাস থেকে নিউইয়র্কে আসে। পরে আরও নানা চরিত্রের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েই এগিয়ে চলে গল্প। সিনেমাটি তিনটি শাখায় অস্কার পেয়েছিল। এটিকে ৪ নম্বরে রেখেছেন অস্কারজয়ী অভিনেতা টম।

যদি যুদ্ধ নিয়ে নির্মিত সিনেমার কথা আসে, তাহলে অনায়াস প্রথম সারিতে জায়গা পাবে টম হ্যাঙ্কসের ‘সেভিং প্রাইভেট রায়ান’–এর নাম। যুদ্ধ নিয়ে সিনেমার প্রতি সব সময় আলাদা আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। কারণ, এসব সিনেমার ভয়াবহতা একটু হলেও মানুষকে যুদ্ধ থেকে দূরে সরিয়ে রাখবে, এমনটাই মনে করেন টম হ্যাঙ্কস। যুদ্ধপরবর্তী গল্প নিয়ে সিনেমা ‘দ্য বেস্ট ইয়ারস অব আওয়ার লাইভস’। যুক্তরাজ্যের তিন সৈন্যের গল্প, যাদের র‍্যাঙ্ক আলাদা। যুদ্ধ নিয়ে তাদের চ্যালেঞ্জ ও যুদ্ধের পেছনের গল্প নিয়েই সিনেমাটি। ১৯৪৭ সালে সিনেমাটি ৭টি শাখায় অস্কার জয় করে। টম হ্যাঙ্কসের পছন্দের তালিকায় এটি ৩ নম্বরে রয়েছে।

‘আ হার্ড ডেজ নাইট’ সিনেমার পোস্টার। ছবি: আইএমডিবি
‘আ হার্ড ডেজ নাইট’ সিনেমার পোস্টার। ছবি: আইএমডিবি

টম হ্যাঙ্কসের পছন্দের তালিকায় ২ নম্বরে রয়েছে ‘আ হার্ড ডেজ নাইট’। সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৬৪ সালে। সে সময় পপ ও রক মিউজিকের দর্শক তৈরি হচ্ছিল; বলা যায় জনপ্রিয়তা পাচ্ছিল। সেই সময় সংগীতের প্রভাব নিয়েই গল্প। মিউজিক ও কমেডি ধাঁচের এই সিনেমা দুটি শাখায় অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিল।

টম হ্যাঙ্কসের বয়স তখন ১০–এর মতো। কিশোর সেই বয়সেই প্রেমে পড়ে যান স্টানলি কুবরিকের সিনেমার। বিখ্যাত এই পরিচালকের কালজয়ী সিনেমা ‘২০০১: আ স্পেস অডিসি’ মুক্তি পায় ১৯৬৮ সালে। সিনেমাটি দিয়ে দারুণভাবে প্রভাবিত টম হ্যাঙ্কস। সে সময় এই সায়েন্স ফিকশন সিনেমা তাকে ঘোরের মধ্যে রেখেছিল। এখনো সিনেমাটি প্রায়ই দেখেন এই অভিনেতা। সিনেমাটি নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘এখনো আমি প্রতিবছর কয়েকবার দেখি সিনেমাটি। প্রথম যখন সিনেমাটি দেখেছিলাম, তখন আমার মাথা ঘুরছিল।’

‘২০০১: আ স্পেস অডিসি’ সিনেমার পোস্টার। ছবি: আইএমডিবি
‘২০০১: আ স্পেস অডিসি’ সিনেমার পোস্টার। ছবি: আইএমডিবি

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.