
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তানের সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের দেশগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিকাশ গতিশীল হবে।’
এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া।
তালেবান সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আফগানিস্তানের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। চার বছর আগে আফগানিস্তান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে তালেবানরা দেশটি শাসন করছে।
কাবুলে রুশ রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি ঝিরনভের সঙ্গে এক বৈঠকে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বলেছেন, এ সাহসী সিদ্ধান্ত অন্যদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। ওই বৈঠকের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত হয়েছে।
আমির খান মুত্তাকি আরও বলেন, এখন যেহেতু স্বীকৃতির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, রাশিয়াই সবার আগে এগিয়ে গেল।
এদিকে রাশিয়ার এ পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের কড়া নজরদারিতে পড়তে পারে। ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতা গ্রহণের পর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত তালেবান সরকারকে সমর্থন দিতে অস্বীকৃতি জানায় ওয়াশিংটন।
আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েক বিলিয়ন ডলারের সম্পদ অবরুদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি তালেবানের কিছু শীর্ষ নেতার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ফলে আফগানিস্তানের ব্যাংকিং খাত আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তালেবানকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের মিত্র’ বলে আখ্যা দেন। এপ্রিল মাসে রাশিয়ার সর্বোচ্চ আদালত তালেবানের ওপর থেকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা তুলে নেন।
আল জাজিরা