ক্লাব বিশ্বকাপে যে দলগুলোর শূন্যতা অনুভূত হচ্ছে, বার্সেলোনা তাদের অন্যতম। বার্সেলোনার অনুপস্থিতি মানে ক্লাব বিশ্বকাপে লামিনে ইয়ামাল, রাফিনিয়া কিংবা রবার্ট লেভানডফস্কিদের খেলা দেখার সুযোগ না পাওয়া। বিশেষ করে গত মৌসুমে বার্সার পারফরম্যান্স সমর্থকদের আক্ষেপ যেন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
তবে ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার বিষয়ে বার্সার ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রাফিনিয়ার ভাবনা একেবারেই ভিন্ন। ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম গ্লোবো জানিয়েছে, সাও পাওলোয় কাল এক অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বলেছেন রাফিনিয়া।
ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার চেয়ে খেলোয়াড়দের ছুটি কাটানো তাঁর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর দাবি, ছুটি বাতিল করে খেলতে বাধ্য হচ্ছেন ফুটবলাররা; পাশাপাশি টুর্নামেন্টে নিজ দেশ ব্রাজিলের ক্লাবগুলোর পারফরম্যান্সের প্রশংসাও করেন রাফিনিয়া।
মৌসুম শেষ করার পর সাধারণত জুন–জুলাই মাসের এই সময়টা ফুটবলাররা অবকাশ যাপন করেন এবং পরের মৌসুমের প্রস্তুতি ননেন। কিন্তু এ সময়েই এখন অনেক খেলোয়াড়কে ক্লাব বিশ্বকাপে ঘাম ঝরাতে হচ্ছে। রাফিনিয়ার কাছে বিষয়টি ফুটবলারদের অধিকার লঙ্ঘনের মতোই মনে হচ্ছে।

রাফিনিয়ার ভাষায়, ‘সুনির্দিষ্টভাবে বললে, কেউ যদি ইউরোপীয় একটি দলের হয়ে খেলে, তাহলে এ সময় তার ছুটিতে থাকার কথা, তাই না? উদাহরণস্বরূপ পিএসজির মারকিনিওস এবং বেরালদোর কথা বলা যায়। তারা চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলেছে।
এরপর তারা ব্রাজিলিয়ান দলে যোগ দিল এবং এখন তারা এই টুর্নামেন্টে খেলছে। তারা থামার কোনো সুযোগ পায়নি। অনেকে বলতে পারে এটা বাহানা, কিন্তু ছুটি বাতিল করতে বাধ্য হওয়া খুবই জটিল বিষয়। এটা খেলোয়াড়দের অধিকার। একটা খেলার জন্য ছুটি বাতিল করতে বাধ্য হওয়া খুবই খারাপ ব্যাপার।’
এবারের ক্লাব বিশ্বকাপের অন্যতম চমক ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলোর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। ব্রাজিলের চারটি ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো, পালমেইরাস, ফ্লুমিনেন্স ও বোতাফোগো গ্রুপ পর্বের বাধা পেরিয়ে এখন শেষ ষোলোয়। বিষয়টি মুগ্ধ করেছে রাফিনিয়াকে।
ছুটি বাতিল করে খেলার সমালোচনা করলেও প্রতিযোগিতায় ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলোর পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন রাফিনিয়া, ‘সত্যি কথা বললে, ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলোর অনেক সম্ভাবনা আছে এবং তারা অনেক মানসম্পন্নও। নিজেদের যোগ্যতার বলেই এই ক্লাব কাপে তারা এভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা এত দূর পর্যন্ত পৌঁছেছে এবং কঠিন ম্যাাচগুলো জিতেছে কিংবা ড্র করেছে। এটা তারা যে ভালো কাজ করছে, তার ফল।’