নিষেধাজ্ঞা শিথিলসহ ইরানকে ৩০ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের

0
12
ট্রাম্প ও খামেনি

আবারও আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইরানকে একটি বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচি গড়ে তুলতে ৩০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত অর্থ সহায়তা দেওয়া, নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা এবং বিদেশি ব্যাংকে আটকে থাকা বিলিয়ন ডলারের তহবিল মুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

চারটি সূত্র থেকে সিএনএন জানতে পেরেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা একাধিক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেছেন, যেগুলোর বেশিরভাগই প্রাথমিক পর্যায়ে এবং পরিবর্তনশীল। তবে একটি বিষয়ে অবস্থান ছিল অটল আর তা হলো ইরান কোনোভাবেই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে না, যদিও ইরান বরাবরই বলছে, তাদের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য এটি প্রয়োজন।

সিএনএনকে দুটি সূত্র জানায়, অন্তত একটি খসড়া প্রস্তাবে ইরানের জন্য বেশ কিছু প্রণোদনার কথা উল্লেখ আছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ২০ থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলারের একটি নতুন, ইউরেনিয়াম-সমৃদ্ধিহীন বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচিতে বিনিয়োগ। যেটি শুধুমাত্র জ্বালানি উৎপাদনের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবে। এই প্রস্তাব নিয়ে হোয়াইট হাউসে মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং উপসাগরীয় অংশীদারদের মধ্যে এক গোপন দীর্ঘ বৈঠক হয়েছিল বলে জানিয়েছে দুইটি সূত্র। বৈঠকটি হয়েছিল ইরানে মার্কিন হামলার আগের দিন।

একজন কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন, এই অর্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি দেবে না বরং যুক্তরাষ্ট্র চায় আরব অংশীদাররা এতে অর্থায়ন করুক। এর আগে, পারমাণবিক আলোচনার বিভিন্ন পর্যায়ে ইরানের পারমাণবিক শক্তি স্থাপনায় বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

একজন ট্রাম্প প্রশাসন কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই আলোচনায় নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত। কারও না কারও তো এই কর্মসূচির অর্থায়ন করতে হবে, তবে আমরা সে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি না।

এই আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানায়, অনেক ধরনের প্রস্তাব নিয়ে কথা চলছে এবং অনেকেই সৃজনশীল পথ খুঁজছেন।

অন্য যে প্রণোদনাগুলো প্রস্তাবে ছিল তার মধ্যে রয়েছে, ইরানের ওপর কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোতে আটকে থাকা ৬ বিলিয়ন ডলার পরিমাণ অর্থ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া।

উইটকফ সিএনবিসিকে বুধবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘ব্যাপক ভিত্তিক শান্তিচুক্তি’ খুঁজছে। আরেক ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তা বলেন, এই সব প্রস্তাবের মূল লক্ষ্য হলো ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ইরান শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে একটি পারমাণবিক কর্মসূচি চালাতে পারে, তবে তারা নিজেরা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে না। বরং ইরান সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আমদানি করতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্র পরামর্শ দিয়েছে।

উইটকফ বলেন, এই প্রস্তাবিত কর্মসূচিটি অনেকটা সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.