নওগাঁর ধামইরহাট থানা থেকে এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় ওসি আবদুল মালেকসহ আরও ৩ কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রোববার (২২ জুন) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার তাদের প্রত্যাহার করেন।
এর আগে, এ ঘটনায় একজন এসআই ও একজন কনেস্টেবলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে থানাহাজতে বিভিন্ন অপরাধের আসামি থাকার কারণে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত মো. সাগর হোসেনকে নারী হাজতে এক হাতে হাতকড়া অবস্থায় রাখা হয়। সে ওই রাতে হাজতের ভেতরে বসে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র প্রশ্ন রাখা ট্রাংকের সিলগালা নখ দিয়ে খুলে ফেলেন। পরে সেখানে রাখা চাবি দিয়ে ট্রাংকের তালা খুলে প্রশ্নপত্রের একটি সেট বের করেন। তার মধ্যে থেকে কয়েকটি প্রশ্নপত্র ছিঁড়ে ফেলেন এবং বাকি প্রশ্নপত্রগুলো বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখেন। উক্ত ঘটনার ফলে আসামিকে আরও একটি মামলা দায়ের শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বলেন, ধামইরহাট থানার ওসিসহ ৩ জন কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের পক্ষে থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অপরদিকে গত শনিবার বিকেলে রাজশাহী বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আ ন ম মোফাখখারুল ইসলাম প্রশ্নপত্র তছনছের ঘটনায় ধামইরহাট থানা পরিদর্শনে আসেন।
এ সময় তিনি বলেন, প্রশ্নফাঁস হওয়া ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র (৩০৫ নম্বর কোড) পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়েছে। অন্য একটি সেটের প্রশ্নপত্র প্রতিটি কেন্দ্রে পাঠানো হবে এবং ইতিহাস বিষয়ের এইচএসসি পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।