ম্যাক্রোঁকে ফোন করলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট, হলো যে আলাপ

0
22
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান

ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাতের মধ্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।

শনিবার (২১ জুন) এক বিবৃতিতে ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

সেখানে ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ফোনালাপকালে ইরানের পরমাণু ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি ও পেজেশকিয়ান দুজনই ইউরোপীয় ও ইরানের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনা ‘ত্বরান্বিত’ করতে সম্মত হয়েছেন।

ফোনালাপের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টও করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট, যেখানে তিনি বলেন, আমি দাবি জানিয়েছি, ইরান কখনই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করবে না এবং তাদেরকে এমন এমন নিশ্চয়তা দিতে হবে যে তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। আমি নিশ্চিত যে এই যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসার এবং বৃহত্তর বিপদ এড়ানোর একটি উপায় আছে।

ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলাপকালে ইরানের প্রেসিডেন্টও জোর দিয়ে বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করার কোনো পরিকল্পনা ইরানের নেই। তবে, পারমাণবিক জ্বালানি এবং গবেষণার অধিকার অবশ্যই রয়েছে।

মূলত, পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সঙ্গে পশ্চিমাদের দ্বন্দ্ব বহুদিনের। ইরান বরাবরই বলে আসছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি ‘শান্তিপূর্ণ’। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলো বলছে, তেহরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। একই বক্তব্য ইসরায়েলেরও।

এই দ্বন্দ্বের অবসানে অনেক কূটনৈতিক দৌঁড়ঝাপের পর ২০১৫ সালে ঐতিহাসিক ইরান পরমাণু চুক্তি সই হয়। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও তাতে স্বাক্ষর করে চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন ও ইইউ। ওই চুক্তির আওতায় তেহরান পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করলে তাদের ওপর থেকে বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন। পরমাণু ইস্যুতে নতুন চুক্তির লক্ষ্যে সম্প্রতি ওয়াশিংটন ও তেহরান নতুন করে আলোচনা শুরু হয়। সেই আলোচনার মধ্যেই ইরানে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.