দীপিকা বিতর্কে এবার মুখ খুললেন কাজল

0
18
কাজল ও দীপিকা।

সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ‘স্পিরিট’ ছবির কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে দীপিকা পাড়ুকোনের অভিনয় করার কথা ছিল। তবে কর্মঘণ্টা, পারিশ্রমিক, ছবির লভ্যাংশ ভাগসহ নানা বিষয়ে মতবিরোধের জেরে সিনেমাটি থেকে বাদ পড়েন তিনি, যা নিয়ে এখনো বলিউডে চলছে তুমুল বিতর্ক। জানা গেছে, মা হওয়ার পর আট ঘণ্টার বেশি কাজ করতে রাজি নন দীপিকা, সেটা নিয়ে যত ঝামেলা। এ ইস্যুতে এখন পর্যন্ত কথা বলেছেন অনেক তারকা। এবার মুখ খুললেন কাজল।

কাজল বলেন, ১৯৯০-এর দশকে তিনি অভিনয় শুরু করার পর কর্মজীবনের ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। পরিবারের পাশাপাশি প্রযোজকদের সহায়তায় তাঁর এ কাজটা সহজ হয়েছে। ‘আমি সেই অল্প কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে একজন ছিলাম, যারা একবারে একটি ছবিতে কাজ করতাম; একসঙ্গে চারটি সিনেমা করিনি। একটা সিনেমা শেষ করতাম, তারপর আরেকটা শুরু করতাম। ২০-৩০ ঘণ্টা কাজ করতে পারিনি। আমি সব সময়ই নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টার বাইরে কাজ করতে চাইনি। আমার মা-ও আমাকে সমর্থন দিয়েছেন।’ বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন কাজল।

কাজল আরও জানান, স্বামী অজয় দেবগনের সঙ্গে প্রথম সন্তান নাইসার জন্মের পরও একই কথা হয়েছিল তাঁর।

কাজল। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে
কাজল। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

তাঁর ভাষ্যে, ‘আমার মনে আছে এ আলোচনাটি হয়েছিল, বেশির ভাগ প্রযোজকই সহযোগিতা করতে চান।’ অতীত অভিজ্ঞতার কথা ভাগাভাগি করে কাজল বলেন, যখনই তিনি ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন, তখন তাঁর সিনেমার প্রযোজকেরা পাশে থেকেছিলেন এবং প্রয়োজনে তাঁকে তাড়াতাড়ি সেট ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুমতি দিতেন।

কাজল বলেন, ‘আমার মনে আছে, “ইউ মি অউর হাম”-এর শুটিং চলছিল তখন। আমার বাবা তখন হাসপাতালে ছিলেন, নাইসার বয়স তখন দুই; প্রচণ্ড চাপ অনুভব করছিলাম। কিন্তু অজয় প্রযোজক হওয়ায় তা সামলে নিয়েছেন যেন আমি হাসপাতালে যেতে পারি। এমনকি আমি যখন “ফানা” করতাম, তখন সবাই খুব স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করত, এটাকে ইস্যু না বানিয়ে বা চুক্তিপত্রে লিখে রাখতাম না। চমৎকার অভিজ্ঞতা হয়েছে। বেশির ভাগ সময় চারপাশের মানুষ আমাকে সাহায্য করেছে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.