‘কেসরি চ্যাপ্টার ২’-এ সাহসী নারী আইনজীবীর চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক ও সমালোচক—উভয়ের প্রশংসা কুড়িয়েছেন অনন্যা পান্ডে। চিরচেনা রোমান্টিক-কমেডি ঘরানার বাইরে গিয়ে এমন একটি শক্তিশালী ও চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় অনন্যাকে নতুন করে চিনিয়েছে; ক্যারিয়ারে তৈরি করেছে নতুন মোড়।
এ ছবিতে অনন্যার বিপরীতে ছিলেন অক্ষয় কুমার ও আর মাধবন। ছবির ট্রেলার মুক্তির পর অনন্যাকে ঘিরে সমালোচনাও কম হয়নি। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, তিনি কি আদৌ এমন একটি ‘গুরুগম্ভীর’ চরিত্রে মানানসই? তবে ছবি মুক্তির পর বদলে গেছে দৃশ্যপট—একবাক্যে সবাই এখন তাঁর অভিনয়দক্ষতার প্রশংসা করছেন।

‘সবাই যখন প্রশংসা করছে, খুব ভালো লাগছে। চরিত্রটা আমার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। নিজের সীমানা ছাড়িয়ে কাজ করতে পেরে খুব খুশি লাগছে। এখন আমি আরও “ডিমান্ডিং” চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রস্তুত,’ এমনটাই বললেন তারকাকন্যা অনন্যা। ছবি বাছাই প্রসঙ্গে অনন্যার ভাষ্য, ‘আগে খুব একটা ভেবে সিদ্ধান্ত নিতাম না। কিন্তু এখন আমি আমার কাজ নিয়ে অনেক বেশি সচেতন। আমি চাই না দর্শক আমাকে কেবল রূপ বা স্টাইল দিয়ে বিচার করুক। আমি চাই, চরিত্রের গভীরতায় আমার অবস্থান তৈরি হোক। প্রকৃত অভিনেত্রী হতে চাই।’
‘কেসরি চ্যাপ্টার ২’-এ অনন্যা ছিলেন একমাত্র নারী আইনজীবী, যিনি আদালতে একদল অভিজ্ঞ পুরুষ আইনজীবীর মুখোমুখি হন। চরিত্রটির জন্য নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেও অনুপ্রেরণা নিয়েছেন অনন্যা, ‘এই চরিত্র আমার থেকে অনেক শক্তি পেয়েছে। যখন ১৮ বছর বয়সে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম, তখন শুটিং সেটে খুব কম মেয়ে থাকত। সেই সময়ের অনেক অভিজ্ঞতা “দিলরিত গিল” চরিত্রে কাজে লেগেছে।’

নির্মাতা করণ সিং ত্যাগীর পরিচালনায় নির্মিত ‘কেসরি চ্যাপ্টার ২’ মুক্তি পায় গত ১৮ এপ্রিল। মুক্তির পর থেকে ছবিটি শুধু বক্স অফিসে সাফল্যই পায়নি; বরং সমালোচকেরাও প্রশংসা করেছেন অভিনয়, চিত্রনাট্য ও নির্মাণগুণের। ‘কেসরি চ্যাপ্টার ২’-এর সাফল্যে উজ্জীবিত অনন্যা এখন ভবিষ্যতের কাজ নিয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে বাঁধতে চাই না। নিজের অভিনয়শৈলী নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চাই। কিছু ছবিতে কাজ করার পর বুঝেছি, ওই ঘরানায় আর ফিরব না।’
বললে বাড়াবাড়ি হবে না, বলিউডে এখন এই তরুণ অভিনেত্রীর সামনে খুলে যাচ্ছে নতুন সম্ভাবনার দরজা।