কাব্য মারানের সব টাকা কি জলে গেল

0
21
কাব্য মারান বিসিসিআই

এবার বিমর্ষ মুখখানাই বেশি দেখা গেল। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সিইও কাব্য মারান উচ্ছ্বাস দেখানোর সুযোগই তো তেমন একটা পাননি। দল যে ১০ ম্যাচের মধ্যে সাতটিতেই হেরেছে। আছে ১০ দলের পয়েন্ট তালিকায় ৯ নম্বরে।

বলা যায় যে এবারের আইপিএল থেকে বাদই পড়ে গেছে হায়দরাবাদ। বাকি শুধু আনুষ্ঠানিকতা। অথচ কোটি কোটি রুপি খরচে বেশ নামডাকওয়ালা একটা দলই বানিয়েছিলেন কাব্য মারান। কিন্তু টুর্নামেন্টের ১০ ম্যাচ শেষে দেখা যাচ্ছে, তাঁর সব টাকাই গেছে জলে!

কাব্য অবশ্য দল তৈরি করতে প্রত্যাশিত পথেই হেঁটেছিলেন। ২০২৪ সালে যাঁদের হাত ধরে দলটি ফাইনালে ওঠে, এবারও তাঁদেরই ধরে রেখেছিল। এই যেমন হায়দরাবাদের দুই ওপেনার হেড ও অভিষেক শর্মা। গত মৌসুমে রীতিমতো বোলারদের ওপর ‘অত্যাচার’ করেছেন।

হেড-অভিষেক ও ক্লাসেন-নীতীশদের কেউই সেরা দিতে পারেননি
হেড-অভিষেক ও ক্লাসেন-নীতীশদের কেউই সেরা দিতে পারেননি,  সানরাইজার্স হায়দরাবাদ

ওভারপ্রতি রান তুলেছেন ১৩.২১ রান করে। এই ওপেনিং জুটি থেকে গড়ে প্রায় ৫০ রান করে পেয়েছে দলটি। দুজনে মিলে ছক্কাই মেরেছেন ৭৪টি। এই দুজনকেই এবার ১৪ কোটি রুপি করে দিয়ে দলে রেখেছে হায়দরাবাদ। কিন্তু গতবারের মতো এবার আর পারফর্ম করতে পারেননি তাঁরা। ১০ ম্যাচ শেষে দুই ওপেনার মিলে ছক্কা মেরেছেন ২৬টি। বড় রানের জুটি নেই একেবারে।

হাইনরিখ ক্লাসেনকে হায়দরাবাদ ধরে রেখেছে ২৩ কোটি রুপিতে। গত মৌসুমে ৩৮টি ছক্কায় ৪৭৯ রান করা ক্লাসেন এবার অনেকটাই নিশ্চুপ। ৩১১ রান করেছেন, ১৫৩.৯৬ স্ট্রাইক রেটে। ১৫৩ স্ট্রাইক রেট টি-টোয়েন্টিতে ভালোই, তবে তা ক্লাসেনের জন্য তা ভালো নয়। তাঁর কাছে ১৮০ স্ট্রাইক রেটই পেতে চাইবে হায়দরাবাদ।

গতবার তিনি ব্যাটিং করেছিলেন ১৭১ স্ট্রাইক রেটে। সবচেয়ে বড় কথা, মিডল অর্ডারে স্পিন বোলারদের অনেকটা ধ্বংস করে দিয়েছিলেন এই ব্যাটসম্যান। যেটা এবার পারেননি।

২০২৪ সালে ২৬টি ছক্কা মেরে আলো ছড়ানো নীতীশ রেড্ডিও আছেন খোলসবন্দী। এই মৌসুমে ১৭৩ রান করেছেন মাত্র ১২০ স্ট্রাইক রেটে। ছক্কা মারতে পেরেছেন এখন পর্যন্ত মাত্র ৪টি। ১১ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে নিলামে কেনা ঈশান কিষানও সুপার ফ্লপ। এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলা কিষান রান করেছেন মাত্র ১৯৬, যেখানে ১০৬ রানের অপরাজিত একটি ইনিংসও আছে। পয়েন্ট তালিকায় ৯ নম্বরে থাকা মূলত এসবেরই পুরস্কার!

শামির বলও এবার তেমন একটা কথা বলেনি
শামির বলও এবার তেমন একটা কথা বলেনি, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ

আর দলটির কোনো প্ল্যান বি–ও ছিল না। অভিষেক-হেড রান না পেলে কী হবে, তা নিয়ে হয়তো ভাবেইনি হায়দরাবাদ ম্যানেজমেন্ট। একাদশে থাকা হেড, ক্লাসেনদের দলে নিতেই বেশি খরচ করেছে হায়দরাবাদ। হেড, ক্লাসেন, কামিন্সদের বাইরে স্কোয়াডে থাকা অন্য বিদেশিদের মধ্যে ছিলেন মুল্ডার, কামিন্দু মেন্ডিস। সামর্থ্যের বিচারে তাঁদের সঙ্গে ক্লাসেনদের পার্থক্য আকাশ-পাতাল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.