মাগুরায় দাওয়াত খেতে এসে স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের পদধারী এক নেতা। হামলার শিকার ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম মীর শহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু মীর।
শুক্রবার (২ মে) দুপুরে পৌরসভার ভিটাসাইর গ্রামে গণপিটুনির শিকার হন তিনি।
জানা যায়, খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার করতে গেলে তাদের সামনে ওই নেতার ওপর দ্বিতীয় দফায় হামলা করা হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে উদ্ধার করে।
গণপিটুনির শিকার মীর শহিদুল ইসলাম মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক এবং পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুমার নামাজের পর ভিটাসাইর গ্রামের জামাল মোল্লার বাড়িতে দাওয়াত খেতে আসেন আওয়ামী লীগের নেতা বাবু মীর। খাবার খেয়ে বের হওয়ার আগমুহূর্তে ওই বাড়ির ভেতরে স্থানীয় যুবকরা তাকে গণপিটুনি দেন। এ সময় দৌড়ে বাবু মীর ঘরের মধ্যে ঢুকে রক্ষা পান। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল তাকে উদ্ধার করতে ওই বাড়িতে যান। পুলিশ উদ্ধার করে ওই ব্যক্তিকে গাড়িতে তুলতে গেলে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
পরে সদর থানার ওসি আইয়ুব আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গিয়ে বাবু মীরকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে।
তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ভিটাসাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ওই গ্রামের বাসিন্দা যুবদলের এক নেতাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ওই দিন হামলা চালান ওই এলাকার তৎকালীন কাউন্সিলর বাবু মীর ও তার লোকজন। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, যুবদলের ওই নেতাকে কুপিয়ে জখম করার পর তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা পর্যন্ত নিতে দেওয়া হয়নি। হামলার প্রায় এক বছর পর মারা যান যুবদলের ওই নেতা। এলাকাবাসীর দাবি, এ ঘটনার রেশ ধরেই বাবু মীরকে গণপিটুনি দেন যুবকরা।
মাগুরা সদর থানার ওসি মো. আইয়ুব আলী বলেন, আওয়ামী লীগের ওই নেতাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে তিনি আগ্রহ দেখাননি।