মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশ

0
19
বাংলাদেশ দল

সিলেটে প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পরাজয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। সিরিজ হার এড়াতে দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের বিকল্প ছিল না স্বাগতিকদের সামনে। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ছেলেখেলা করেছে নাজমুল হোসেন শান্তরা। মেহেদি হাসান মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে সফরকারীদের ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ এ সমতায় শেষ করেছে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রান করে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। জবাবে, ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৪৪ রান করে। ২১৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১১১ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। ফলে ইনিংস এবং ১০৬ রানের ব্যবধানে জয় তুলে নেয় মিরাজ-শান্তরা। ঘরের মাঠে ৬ টেস্ট পরাজয়ের পর প্রথম জয়ের স্বাদ পেল টিম টাইগার্স।

মেহেদি হাসান মিরাজ

বড় লিডের লক্ষ্য মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে চাপেই যেন ভেঙে পড়ে জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডারের ব্যাটাররা! বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ওপেন করেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। নতুন বলে তাইজুলের উপর ভরসা রাখেন অধিনায়ক।আর অধিনায়কের সেই আস্থার প্রতিদানও দেন তাইজুল। ইনিংসের ৭ম ওভারেই বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন তিনি। এই স্পিনার ব্রায়ান বেনেটকে সাজঘরে পাঠান। ৬ রান করে এই ওপেনার ফেরায় ৮ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।

দুই বল পর আবারো আঘাত হানেন তাইজুল। এবার তার শিকার হন নিক ওয়েলচ। এই টপঅর্ডার ব্যাটারকে রীতিমতো বোকা বানান তাইজুল। লেগ বিফোরের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ, তাতে সিদ্ধান্ত বদলে যায়। ২ বল খেলে ডাক মারেন ওয়েলচ।

মেহেদি হাসান মিরাজ

১১তম ওভারে আক্রমণে এসে উইকেটের দেখা পান নাঈম ইসলাম। ১৭ বল খেলে ৭ রানের বেশি করতে পারেননি অভিজ্ঞ ব্যাটার উইলিয়ামস। তিনি দ্রুত ফেরায় ২২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পরে জিম্বাবুয়ে। এরপর ক্রেগ আরভিন ও বেন কারান মিলে দলকে সামনের দিকে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এই জুটি ভেঙে দেন মিরাজ। আরভিনকে বোল্ড করেন মিরাজ। একই ওভারের শেষ বলে ওয়েসলি মাদেভারেকেও সাজঘরে পাঠান এই অফ স্পিনার।

সময় যাওয়ার সাথে সাথে বল হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকেন মিরাজ। ওয়েলিংটন মাসাকাদজা এবং বেন কারানকে সাজঘরে ফিরিয়ে ইনিংসে ফাইফার পূরণ করেন তিনি। সেই সাথে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ফাইফারের কৃতিত্ব দেখান এই অলরাউন্ডার। বিকেলের দিকে বোলিংয়ে এসে রিচার্ড এনগারাভাকে ফেরান বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। শেষ ব্যাটার হিসেবে রান আউট হন মাসাকেসা।

ম্যাচে ৯ উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল। আর মিরাজ পেয়েছেন ৫ উইকেট। এ ছাড়া নাঈম হাসান ৩ উইকেট তুলে নেন।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.