ধর্ষণের শিকার জুলাই শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

0
24
ধর্ষণের ঘটনার পর জুলাই আন্দোলনে শহীদ জসিম উদ্দিনের মেয়ে লামিয়া (১৭) গলায় ফাঁস দিয়েছে

ধর্ষণের ঘটনার পর জুলাই আন্দোলনে শহীদ জসিম উদ্দিনের মেয়ে লামিয়া (১৭) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। পরে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ১১টায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দুমকি থানার ওসি মো. জাকির হোসেন।

জানা যায়, রাত ১০টায় পটুয়াখালীর শেখেরটেকের একটি ভাড়া বাসায় তার নিজকক্ষে গলায় ফাঁস দেন লামিয়া। পরে তাকে দ্রুত সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

শহীদ জসিম উদ্দিনের চাচাতো ভাই কালাম হাওলাদার বলেন, গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর পাংগাশিয়া ইউনিয়নে নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে লামিয়া সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। পরে তিনি নিজেই বাদী হয়ে দুমকি থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার পর থেকেই তিনি মারাত্মক মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। সামাজিক লজ্জা, চাপ ও বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতায় হতাশ হয়ে পড়েন লামিয়া।

সর্বশেষ এসব চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহননের পথ বেছে নেন বলে দাবি করে নিহতের পরিবার।

এ দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ‎প্রতিবেশী জানান, সন্ধ্যার পর মা-মেয়ে মিলে কাপড় কিনেছিল। রোববার বিকেলে লঞ্চে করে বাড়িতে যাবে। শনিবার রাতে ছোট মেয়েকে নিয়ে মাদরাসায় যাওয়ার পর বড় মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। হয়তো কেউ তাকে ফোনে এমন কোনো হুমকি দিয়েছে। যার কারণে সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে দুমকি থানার ওসি মো. জাকির হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমরা শুনেছি। নিহতের পরিবারের সঙ্গে আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।

পটুয়াখালী জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান টোটন বলেন, উক্ত ঘটনায় অভিযুক্ত দুজন আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিচার প্রক্রিয়াধীন, আসামিরা পটুয়াখালী জেলা কারাগারে রয়েছেন।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শহীদের পরিবার।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.