কাশ্মীরে হামলা: ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গুলিবিনিময়

0
18
ভারত ও পাকিস্তানের কাশ্মীর সীমান্ত, ছবি সংগৃহীত

কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর বিভিন্ন স্থানে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান গুলি চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতের কয়েকটি সামরিক সূত্র। এসব সূত্রের ভাষ্য, এ গুলির জবাবে পাল্টা গুলি ছুড়েছেন ভারতীয় সেনারা।

সূত্রগুলো বলেছে, গুলিবিনিময়ের এসব ঘটনায় কোনো হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

একটি সূত্র বলেছে, ‘নিয়ন্ত্রণরেখার কয়েকটি স্থানে ছোট আকারে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তানের তরফে প্রথম গুলি ছোড়া হয়েছে। তাদের এ গুলিবর্ষণের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে।’

গত মঙ্গলবার ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে বন্দুকধারীদের এক হামলায় অন্তত ২৬ পর্যটক নিহত হয়েছেন। এর দুদিন পর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গুলিবিনিময়ের ওই ঘটনা ঘটল। কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।

পেহেলগামে হামলায় পাকিস্তানের মদদ আছে অভিযোগ তুলে গত বুধবার প্রতিবেশী দেশটির নাগরিকদের ভিসা বাতিলসহ পাঁচটি পদক্ষেপ নেয় ভারত। জবাবে গতকাল ভারতের নাগরিকদের ভিসা বাতিল, দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত, ভারতের উড়োজাহাজের জন্য দেশের আকাশসীমা বন্ধসহ বেশ কয়েকটি পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান।

এ উত্তেজনার মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত ও পাকিস্তান।

পেহেলগামে হামলায় পাকিস্তানের মদদ আছে অভিযোগ তুলে গত বুধবার প্রতিবেশী দেশটির নাগরিকদের ভিসা বাতিলসহ পাঁচটি পদক্ষেপ নেয় ভারত। জবাবে গতকাল ভারতের নাগরিকদের ভিসা বাতিল, দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত, ভারতের উড়োজাহাজের জন্য দেশের আকাশসীমা বন্ধসহ বেশ কয়েকটি পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান।

পেহেলগামে সশস্ত্র হামলার পর শ্রীনগরে ভারতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টহল বাড়ানো হয়, ছবি: রয়টার্স

আগের দিন ভারত যেসব পদক্ষেপ নেয়, সেগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা। এর জবাবে পাকিস্তান গতকাল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ওই চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তান যে পানি পাবে, তার প্রবাহ থামানো বা অন্যদিকে নেওয়ার যেকোনো চেষ্টা যুদ্ধের শামিল বলে বিবেচনা করা হবে। এ পানির প্রবাহ রক্ষায় পূর্ণ শক্তি প্রয়োগেরও ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।

এদিকে কাশ্মীরে হামলাকারী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে এক সমাবেশে তিনি বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি, যারা এ হামলা চালিয়েছে ও নীলনকশা সাজিয়েছে, তাদের কল্পনাতীত পরিণতি ভোগ করতে হবে।’

নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, ‘এই সন্ত্রাসীদের যত সামান্য ভূমিই থাকুক না কেন, এখনই সময় এসেছে তা ধুলায় মিশিয়ে দেওয়ার। ১৪০ কোটি ভারতীয়র ইচ্ছাশক্তি এই সন্ত্রাসীদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে।’

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলের ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামে স্বল্প পরিচিত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। ২০১৯ সালে কাশ্মীর অঞ্চলে আত্মপ্রকাশ করা এই সংগঠন পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তাইয়েবার সঙ্গে যুক্ত বলে ভারতের দাবি। ভারতের পুলিশ বলছে, পর্যটকদের ওপর হামলাকারীদের দুজন পাকিস্তানের নাগরিক।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.