গত মৌসুমের ঘটনা। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের করা ১৬৫ রান ৯.৪ ওভারে তাড়া করেছিলেন সানরাইজ হায়দরাবাদের দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও ট্রাভিস হেড।
হায়দরাবাদকে পেয়ে আজ অনেকটা সেই ম্যাচের প্রতিশোধ নিতেই বোধ হয় চেয়েছিলেন নিকোলাস পুরান। নিয়েছেনও। নিজে খেলেছেন ২৫ বলে ৭০ রানের ইনিংস। হায়দরাবাদের করা ১৯০ রান ২৩ বল ও ৫ উইকেট বাকি থাকতেই তাড়া করেছে তাঁর দল লক্ষ্ণৌ।
রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদের বিপক্ষে মাত্র ১৮ বলে ফিফটি করেন পুরান, এবারের আইপিএলে যা দ্রুততম। প্রথম ম্যাচেও ফিফটি পেয়েছিলেন পুরান, সেদিন ফিফটি করেন ২৪ বলে। আজ তাঁর ইনিংসে ছিল ৬ চার ও ৬টি ছক্কা। হায়দরাবাদকে অনেকটা হায়দরাবাদের মতো করেই পিটিয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার।

ফিফটি পান ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে নামা মিচেল মার্শও। ৩১ বলে ৫২ রান করেছেন এই ওপেনার। এটি তাঁর টানা দ্বিতীয় ফিফটি। প্রথম ম্যাচে শূন্য করা ঋষভ পন্ত আজও ছিলেন ব্যর্থ। আউট হন ১৫ বলে ১৫ রান করে। নইলে তো ১৩-১৪ ওভারের মধ্যেই খেলা শেষ হতে পারত।
টসে হেরে ব্যাটিং করতে নামা হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন নিশ্চুপ। মানে তাঁদের মান অনুযায়ী আক্রমণাত্মক হতে পারেননি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই শার্দূল ঠাকুরের বলে অভিষেক শর্মা ও ঈশান কিষানকে হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি।
এরপরও ৬ ওভারে দলটি করে ২ উইকেটে ৬২ রান। ২৮ বলে ৪৭ রান করে ট্রাভিস হেড আউট হলে হাইনরিখ ক্লাসেন এসে তাঁর মতো ব্যাট চালান। তবে ১৭ বলে ২৬ রান করে রানআউট হয়ে যান ক্লাসেন। এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান ফিরে গেলে অনিকেত বার্মার ১৩ বলে ৩৬ ও প্যাট কামিন্সের ৪ বলে ১৮ রানের ক্যামিওতে ১৯০ রান তুলতে পারে হায়দরাবাদ।
এবারের আইপিএলে এটিই লক্ষ্ণৌর প্রথম জয়। নিজেদের প্রথম ম্যাচে দিল্লির কাছে হেরেছে লক্ষ্ণৌ। প্রথম ম্যাচে রাজস্থানকে হারানো হায়দরাবাদের এটিই প্রথম হার।