তাসকিনের ‘সেঞ্চুরি’তে নতুন রেকর্ড

0
10
বোলিংয়ে তাসকিন আহমেদ। আহ মোহামেডান–গাজী গ্রুপ ম্যাচে, বিসিবি

তাসকিন আহমেদ সেঞ্চুরি করেছেন! তা তিনি করতেই পারেন,  ব্যাটিং তো মোটামুটি পারেনই।  তবে ব্যাট হাতে নয়, বাংলাদেশের জাতীয় দলের পেসার সেঞ্চুরি করেছেন বল হাতে রান বিলানোর। বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে রান বিলানোর সেঞ্চুরি করা তাসকিন নতুন রেকর্ডও গড়েছেন।

বিকেএসপিতে আজ গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ১০ ওভারে ১০৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন মোহামেডানের তাসকিন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো বোলারের যা সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলিংয়ের রেকর্ড। তাসকিনের উদারতায় মোহামেডানের বিপক্ষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৬ রান করেছে গাজী গ্রুপ। অধিনায়ক এনামুল হক  ১৪৩ বলে করেছেন সর্বোচ্চ ১৪৯ রান।

এত দিন লি ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের  বোলারদের সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার রেকর্ডটা ছিল ১০৪।  ২০১০ সালে বেনোনিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলের বিপক্ষে  ১০৪ রান দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পেসার শাহাদাত হোসেন। ১৪ বছর পর ২০২৪ সালে  ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেই আবাহনীর বিপক্ষে ৯ ওভারে ১০৪ রান দেন গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির পেসার ইকবাল হোসেনও।

তাসকিন ভেঙেছেন শাহাদাত হোসেনের রেকর্ড
তাসকিন ভেঙেছেন শাহাদাত হোসেনের রেকর্ড

সব মিলিয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সবচেয়ে খরুচে বোলিংটা নেদারল্যান্ডসের বাস ডি লিডা। ২০২৩ বিশ্বকাপে দিল্লিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২ উইকেট নিতে ১১৫ রান খরচ করেন তিনি। খরুচে বোলিংয়ের তালিকায় তাসকিনের আজকের ঘটনাটি আছে ১১তম স্থানে।

গাজী গ্রুপের বিপক্ষে প্রথম ওভারেই বোলিংয়ে আসেন তাসকিন আহমেদ। ওই ওভারে তাঁকে একটি চারই মারতে পারেন ওপেনার সাদিকুর রহমান। প্রথম স্পেলে তিন ওভার করে তাসকিন অবশ্য খরচ করেন ৩৩ রান।

১৪৯ রান করেছেন গাজী গ্রুপের এনামুল হক
১৪৯ রান করেছেন গাজী গ্রুপের এনামুল হকবিসিবি

আবার ২৫তম ওভারে তাসকিনকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন মোহামেডান অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এবার প্রথম ওভারে ১২ রান দিলেও দ্বিতীয়টিতে এসে গাজী গ্রুপের ১৪১ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তাসকিন। এই দফায় তিন ওভার বল করে ২১ রান দেন।

৩৯তম ওভারে তৃতীয় স্পেলে দুই ওভার করেন তাসকিন। ৮ রান দিয়ে শামসুর রহমানকে বোল্ড করেন। প্রথম ৮ ওভারে ৬২ রান দিয়ে দুই উইকেট পান। কিন্তু শেষ দুই ওভারেই তাঁর ওপর মারমুখী হন গাজী গ্রুপের ব্যাটসম্যানরা।

৪৬তম ওভারে তিন চার ও দুই ছক্কায় ২৫ রান নেন তোফায়েল আহমেদ ও এনামুল হক। এক ওভার পর নিজের শেষ ওভারটি করতে এসে ২ ছক্কা ও ১ চার হজম করে ২০ রান দেন। এই ওভারে অবশ্য ২৯ বলে ৬৩ রান করা তোফায়েল আহমেদ তাঁর বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ৫ উইকেটে ৩৩৬ রানে থামে গাজী গ্রুপ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.