পুলিশের তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত

0
7
সরকার

পুলিশের এক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) ও দুই পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁরা বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা পাবেন।

এই তিন কর্মকর্তা হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শহিদুল্লাহ, বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান ও নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

আবুল হাসনাত খান সর্বশেষ সিলেট রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয়ে সংযুক্ত ছিলেন। আর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নীলফামারী ইন–সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট ছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এতে স্বাক্ষর করেন জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শহিদুল্লাহর বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। গত ৯ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেহেতু মো. শহিদুল্লাহকে সরকারি চাকরি আইন (২০১৮ সালের ৫৭ নম্বর আইন)–এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। শহিদুল্লাহ ডিএমপির একাধিক বিভাগে উপকমিশনার ও যুগ্ম কমিশনার ছিলেন।

একইভাবে পৃথক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ফকিরহাট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি গ্রেপ্তার হন। অন্যদিকে নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গত বছরের ২০ আগস্ট সোনাইমুড়ি থানায় হত্যা মামলা হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দুজনকেই সরকারি চাকরি আইন (২০১৮ সালের ৫৭ নম্বর আইন)–এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.