সুরাহা হলো না গঙ্গার পানিবণ্টনের

0
7
ফারাক্কায় গঙ্গা

গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বৈঠক সফল হয়নি। মূলত ফারাক্কায় গঙ্গার পানি মাপার পর দুইদিন ধরে বৈঠক করেন ভারত ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। তবে, আলোচনা জটিল দিকে মোড় নেওয়ায় পানিবণ্টনের সুরাহা ছাড়াই ফিরছে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল।

জানা যায়, প্রথমদিকে সব ঠিকঠাক এগোলেও শেষ পর্যন্ত আলোচনায় জটিলতা দেখা দেয়। দুই দেশের প্রতিনিধিরা একসঙ্গে ফারাক্কায় গঙ্গার পানি মাপেন। প্রথম দিন গঙ্গার পানিবন্টন নিয়ে আলোচনা হয়। দুই দেশের প্রতিনিধিদলের নেতা বৈঠকের মিনিটসে সইও করেন।

কিন্তু দ্বিতীয় দিনের বৈঠক ছিল সীমান্তের নদীগুলো নিয়ে। কিন্তু সেই বৈঠকের পর মিনিটসে সই হয়নি।

বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতা মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেছেন, পরিকল্পনা মতো আমাদের বৈঠক হয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।

অবশ্য ভারতের পক্ষ থেকেও কেউ মুখ খোলেননি। বৈঠক শেষ হওয়ার পর সাংবাদিক সম্মেলনও হয়নি।

শুক্রবারের বৈঠকে আলোচ্য ছিল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তথ্য ভাগাভাগি, বন্যা রিপোর্ট, সীমান্ত নদীগুলোকে কেন্দ্র করে দুই দেশের পরিকল্পনার বিষয়টি। একাধিক বিষয়ের আলোচনায় কোনো সিদ্ধান্তে না আসতে পারার কারণে বৈঠকের পর এখনও কোনও মিনিটসে সই করা হয়নি বলে জানা গেছে।

গত বছর বন্যায় একাধিক সীমান্ত নদীতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশি কিছু জায়গায় বাঁধ ভেঙে পড়েছে। সীমান্ত নদী হওয়ার কারণে এসবের মেরামতের জন্য দুই দেশের সম্মতি প্রয়োজন।

সূত্রমতে, ৭ মার্চের মিটিংয়ে বাংলাদেশ এই নদীগুলোর বাঁধে মেরামতের কাজ করতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারত এখনও তাদের সম্মতি দেয়নি। তারা বিষয়টি আগে খতিয়ে দেখতে চায়।

এছাড়া, তথ্য ভাগাভাগির বিষয়টি আলোচনা হয়েছে এবং ভারত তাতে রাজি থাকলেও তা মিনিটসের খাতায় তোলা নিয়ে সমস্যা দেখা যায়। ফলে, শেষ পর্যন্ত মিনিটসে সই হয়নি।

গঙ্গার পানিবন্টন চুক্তি মেনে পানি ভাগাভাগি হচ্ছে কিনা তা দেখতে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ভারতে যান প্রতিনিধিরা। এ বছর ৪ মার্চ ফারাক্কায় গিয়ে পানি মাপার পর তারা জানিয়েছিলেন, ভাগাভাগি নিয়ে তারা সন্তুষ্ট। একইসঙ্গে তারা আবার এটাও জানান, এ বছর পানি কম থাকার জন্য দুই দেশই পানি কম পাচ্ছে।

এরপর, ৬ মার্চ ভারত বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে গঙ্গা পানিবন্টন এবং নদীর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। মিটিং শেষে আলোচনার সারাংশে সই করেন ভারত ও বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতা শরদ চন্দ্র এবং মোহাম্মদ আবুল হোসেন। সূত্র: ডয়েচে ভেলে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.