ফুটবলে এল নতুন নিয়ম, গোলকিপার সময় নষ্ট করলেই কর্নার

0
10
সময় নষ্টের জন্য গোলকিপারদের বল হাতে রেখে দেওয়া ঠেকাতে এসেছে নতুন নিয়ম। এএফপি

ফুটবল মাঠে বল হাতে নিতে পারেন শুধু গোলকিপার। আর এ সুবিধাটা কাজে লাগিয়ে অনেক সময় বল হাতে নিয়ে সময় নষ্ট করতে দেখা যায় তাঁদের। এখন থেকে সময় নষ্ট করা গোলকিপারদের একটু বেশিই সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, বল বেশি সময় আটকে রাখলেই প্রতিপক্ষ কর্নার পাবে।

শনিবার ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ডের (আইএফএবি) সভায় নতুন এই নিয়ম অনুমোদন করা হয়েছে। জুনে ৩২ দল নিয়ে আয়োজিত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে এ নিয়ম কার্যকর হবে।

গোলকিপার ইচ্ছাকৃতভাবে বল আটকে রেখে সময় নষ্ট করলে এখনো শাস্তি দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে একজন গোলকিপার ৬ সেকেন্ডের বেশি সময় নষ্ট করলে প্রতিপক্ষকে পরোক্ষ ফ্রি–কিক দেওয়া হয়। পরোক্ষ ফ্রি–কিকে গোলমুখে শট নেওয়ার আগে আরেকজন ফুটবলারকে পা ছোঁয়াতে হয়। এ ধরনের ঘটনায় গোল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে বলে রেফারিরা শাস্তি দিতে নিরুৎসাহিত বোধ করেন। কারণ, অধিকাংশ ঘটনায় দেখা যায় গোলকিপারের সময় নষ্টের সময় গোলের সম্ভাবনা একই মাত্রার ছিল না।

ছবিটি খেলা শুরুর আগের। তবে ম্যাচের মধ্যেও এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে পায়ে বল ধরে রাখতে দেখা যায়।
ছবিটি খেলা শুরুর আগের। তবে ম্যাচের মধ্যেও এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে পায়ে বল ধরে রাখতে দেখা যায়।এএফপি

গোলকিপারদের সময় নষ্টের ঘটনায় যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে শাস্তির ধরনে পরিবর্তন এনে কর্নারের নিয়ম করেছে আইএফএবি। এ ক্ষেত্রে গোলকিপারদের জন্য সময়ও বাড়ানো হয়েছে। গোলকিপাররা বল ধরে রাখতে পারবেন সর্বোচ্চ ৮ সেকেন্ড। কর্নার সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগে রেফারি ৫ সেকেন্ড সতর্কতামূলক গণনা (কাউন্টডাউন) করবেন।

সময় নষ্টে কর্নারের নিয়ম অনুমোদনের আগে এটি ইংল্যান্ডের লিগ টু এবং মাল্টা ও ইতালির ফুটবলে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছিল। ৪০০টির বেশি ম্যাচের পরীক্ষায় দেখা গেছে, ইংল্যান্ডে গোলকিপারের সময় নষ্টের কারণে কর্নার হয়েছে তিনটি, মাল্টায় একটিও নয়। ইতালিতে পরীক্ষা চালানো হয়েছিল কর্নারের বদলে থ্রোর শাস্তি। সেখানে একবার শাস্তিটি প্রয়োগ করা হয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে আয়োজিত আইএফএবির শনিবারের বৈঠকে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে কর্নারের নিয়ম অনুমোদন করা হয়েছে। ১৮৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত আইএফএবিতে মোট ভোট ৮টি।

এর মধ্যে বিশ্বজুড়ে ২০০টির বেশি দেশের প্রতিনিধিত্বকারী ফিফার ভোট ৪টি, বাকি ভোট প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড ও আইরিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের। ফুটবল খেলায় নতুন কোনো নিয়ম প্রবর্তন করতে তিন–চতুর্থাংশ ভোটের প্রয়োজন হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.